বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননা ও ভুল তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ১ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ সোমবার কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে ঢাকা মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর আসামিপক্ষের আসামি পক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে এদিন ধার্য করেন।
সোমবার আদালতে মামলাটি চার্জ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ছিল। তবে খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে জানিয়ে শুনানি পেছানোর আবেদন করেন তার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে ১ সেপ্টেম্বর নতুন তারিখ ধার্য করেন।
গত বছরের ৬ জুন প্রকাশিত হাইকোর্টের এক আদেশে বলা হয়, জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্টে ভুল তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগে দায়ের করা মানহানির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গ্রেফতারী পরোয়ানা কার্যকর ও জামিন নিষ্পত্তিতে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট ভুল পথে পরিচালিত হয়েছে। একইসঙ্গে এ সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে খালেদা জিয়ার আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আদালত। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চের এক লিখিত আদেশে এ মন্তব্য করা হয়। গত বছরের ৩১ মে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেন আদালত। এরপর এই দুই মামলায় গত বছরের ৩১ জুলাই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ থেকে খালেদা জিয়া জামিন পান।
২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ভুল তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
অন্য দিকে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী বাদী হয়ে জাতীয় পতাকা অবমাননা মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় গত ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।