ঢাকার দোহার উপজেলায় ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সরকারী হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারী হাসপাতালেও রোগী ভর্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে। দোহার উপজেলা হাসপাতালে গত ৪৮ ঘণ্টায় ৫০ জনেরও অধিক ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা হয়েছে।
এদিকে জায়গা সংকুলান করতে না পারায় রোববার থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাকক্ষের মেঝেতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানান হাসপাতালের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিন। মেঝে আর বারান্দায় ঠাসাঠাসি করে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। ফলে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। বেড না পেয়ে অনেক রোগী বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জানা যায়, দোহার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে উপজেলার দোহার পৌরসভা এলাকার রোগীর সংখ্যাই বেশি। পৌরসভার খাড়াকান্দা, উত্তর জয়পাড়া, চরজয়পাড়া, লটাখোলা বিলের পাড় ও বটিয়া এলাকায় ডেঙ্গু বিস্তার ছড়াচ্ছে। সরকারী হাসপাতালের সিনিয়র নার্স রানু আক্তার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। অনেক রোগী ঢাকা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে গত কয়েকদিনে আশংকাজনকভাবে বেড়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।
জ্বর ও ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে আসলেই প্রথমে তাদের ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য রোগীদের পাঠানো হচ্ছে আশপাশের ক্লিনিকে। তবে রোগীদের অভিযোগ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ক্লিনিকগুলোতে নানা অযুহাতে বাড়তি ফি নিচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ সব বয়সের রোগী রয়েছে। ডেঙ্গুর প্রকোপ যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
এ ব্যাপারে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, গত কয়েকদিনে আমাদের হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী আসছে। সব রোগীকে এখানে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব না। রোগীর অবস্থা দেখে কিছু রোগীকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যদের এই হাসপাতালেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।