পাঁচ বছরের শিশু পুত্রকে চিকিৎসা করাতে এসে বাস চাপায় স্বামী-স্ত্রীসহ তিন জন নিহত হয়েছেন। নিহত তিন জনের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী এবং অসহায় এক অটো চালক রয়েছেন। বাবা মা মারা গেলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছে পাঁচ বছরের শিশু বিজয়।
আজ রবিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পুরাতন রোডের মীর দেওহাটা কচুয়াপাড়া নামক স্থানে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন, মির্জাপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের চান্দুলিয়া গ্রামের মো. পাখি মিয়ার ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম(৩৬), তার স্ত্রী তাসলিমা বেগম(৩০) এবং বাইমহাটি গ্রামের ফালু মিয়ার ছেলে অটো চালক মো. শরিফুল ইসলাম(২৯)।
মির্জাপুর থানা পুলিশ সুত্র জানায়, চান্দুলিয়া গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলম স্ত্রী তাসলিমা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে তার পাঁচ বছরের অসুস্থ্য শিশুপুত্র বিজয়কে চিকিৎসার জন্য কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে আসেন। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার জন্য স্বামী-স্ত্রী ও শিশুপুত্র মির্জাপুর পুরাতন বাস স্টেশন থেকে একটি অটো রিকসায় উঠেন। অটো রিকসাটি মীর দেওহাটা কচুয়াপাড়া নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা টাঙ্গাইলগামী একটি যাত্রীবাহী বাস অটো রিকসাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাসলিমা বেগম মারা যান। মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় পাঁচ বছরের শিশু বিজয়।
পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয় লোকজন গুরুতর অবস্থায় তাসলিমা বেগমের স্বামী মো. জাহাঙ্গীর আলম ও অটো চালক শরিফুল ইসলামকে উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘণ্টাখানেক পরে তারা দুজনেই মারা যান।
পুলিশ ঘাতক বাসটি আটক করেছে। তবে বাসের চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে মির্জাপুর থানার ওসি(তদন্ত) মো. মোশারফ হোসেন জানিয়েছেন। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এদিকে নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন মির্জাপুর পৌরসভার মো. সাহাদৎ হোসেন সুমন। তিনি ঘাতক বাসের চালক-হেলপারকে অভিলম্বে গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।