হতাশা, যন্ত্রণা শব্দগুলো ঠিক তার শরীরী ভাষার সঙ্গে মানায় না। হারলেও ‘স্টেডি লুক’ আঁকড়ে থাকেন। এহেন বিরাট কোহলির মুখে হারের যন্ত্রণার কথা! জানালেন, বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে হারের যন্ত্রণা গিলতে পারা কঠিন ছিল। ঘুম থেকে উঠলেই ঘিরে ধরত বিষাদ।
কোহলি বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর প্রথম ক’দিন খুব খারাপ কেটেছে। টুর্নামেন্ট শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠলেই খারাপ লাগা ঘিরে ধরত। তবে দিন যত এগোত, তত নিজের অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়তাম। আমরা পেশাদার ক্রিকেটার। তাই আমাদের সব ভুলে সামনের দিকে তাকাতেই হয়। সব দল এভাবে এগোয়। আমরাও সেভাবে এগোচ্ছি। এখানে প্রথম টি২০ ম্যাচের আগে ট্রেনিং করার সময় দলের সবাই তরতাজা ছিল। বোঝা যাচ্ছিল নতুন লড়াইয়ের জন্য ওরা প্রস্তুত। এটাই সবচেয়ে ইতিবাচক দিক। আসলে হতাশা কাটিয়ে এভাবেই নতুনভাবে মাঠে নেমে পড়তে হয়।’
সামনের বছর টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপ। সে কথা মাথায় রেখেই নতুন মুখের সংখ্যা বাড়ানোর দিকে মন দিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। ধোনির অনুপস্থিতিতে যেমন ঋষভ পন্থের সামনে বড় সুযোগ। এই বিষয়ে কোহলির মত, ‘ঋষভের সামনে সত্যিই বড় সুযোগ। আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করার। ওর যোগ্যতা কী আমরা জানি। তাই আমরা সবাই চাই ও ধারাবাহিক পারফর্মার হিসেবে ভারতীয় ক্রিকেটে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করুক। এমএসের অভিজ্ঞতা ভারতীয় দলের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে তা সত্ত্বেও বলব দলের কিছু তরুণ প্লেয়ারের সামনে এই মুহূর্তে বিরাট সুযোগ রয়েছে। জাতীয় দলে নিজেদের জায়গা পাকা করার। তাই ওদের সবার সামনের দিকে তাকানো উচিত।’
টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজ থেকেই শুরু করে দিচ্ছেন, সে কথা জানাতে ভোলেননি কোহলি। বলেছেন, ‘হ্যাঁ এখান থেকেই প্রস্তুতি শুরু করছি আমরা। টি২০ বিশ্বকাপের আগে আমরা ২৫–২৬টা ম্যাচ পাব। সেরা একাদশ খুঁজতে হবে।’ উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় ২০২০–র ১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপ।