ডেঙ্গু নিয়ে সরকারকে ‘রাজনীতি’ না করে পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার বিকেলে ধানমন্ডির ল্যাব এইডে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কয়েকজন রোগীকে দেখে আসার পর এই আহবান জানান। একইসাথে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ড্যাবের সাবেক আহ্বায়ক অসুস্থ অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন তিনি। বিকালে ধানমন্ডিতে ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারসহ কয়েকজন রোগীকে দেখতে যান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে তাদের সর্বশেষ অবস্থার খোঁজ-খবর নেন। এ সময় দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. একেএম আজিজুল হক, ড্যাবের সভাপতি ডা. অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, অধ্যাপক আবদুস সালাম, ডা. আবদুস সেলিম, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. এটিএম ফরিদ, ডা. শাহ আমানউল্লাহ, ডা. এফরানুল হক সিদ্দিকী, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. মো. আবু জাফর, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি এখানে কয়েকজন ডেঙ্গু রোগীকে দেখলাম। সারাদেশেই এটা ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা বিশেষজ্ঞদের কাছে শুনেছি এটা কনটিনিউ করবে। এই কারণে একটা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে জরুরী অবস্থার ভিত্তিতে এর মোকাবিলা করা দরকার সম্মিলিতভাবেই। এখন অন্য রাজনীতি না করে দ্রুত মানুষকে বাঁচানোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
মশার ঔষধ বিদেশ থেকে জরুরি ভিত্তিতে আনার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা একটা জিনিস খেয়াল করলে দেখবেন যে, বাংলাদেশ কিন্তু এখন সরকার চালায় না। মানে প্রশাসন কিংবা বিমান মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ চালাচ্ছে না। বাংলাদেশ চালাচ্ছে এখন বিচার বিভাগ। আদালতের হুকুম হয় তারপরে কথা-বার্তা হয়, নড়াচড়া করে এসব হয়ে চলে অর্থাৎ প্রকৃতপক্ষে সরকার সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ। অন্যান্য ক্ষেত্রে বটেই স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে, ডেঙ্গু প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। আমরা মনে করি ওদিকে না গিয়ে অবিলম্বে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে জরুরি ভিত্তিতে এসমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। কিছুটা যুদ্ধকালীন অবস্থার মতো করা দরকার। কারণ এখন সময় খুব কম।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটা পরিবার এখন দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে আছে। বিশেষ করে শিশুদেরকে নিয়ে, বাচ্চাদেরকে নিয়ে। আমি এখন দেখে আসলাম তারা অনেকেই বেশ সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। আমার মনে হয়, সরকারের উচিত হবে আর কাল বিলম্ব না করে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছ থেকে এবং আমাদের যারা চিকিৎসক আছেন তাদের সকলের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে সকলের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করা উচিত।