প্রথম দুই ম্যাচ হেরে স্বাগতিক শ্রীলংকার কাছে চলতি তিন ওয়ানডে সিরিজ ইতোমধ্যেই খুইয়েছে সফরকারী বাংলাদেশ। এখন শ্রীলংকার কাছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জার সম্মুখীন তামিম-মুশফিক-মাহমুদুল্লাহরা। শ্রীলংকার কাছে এর আগে চারবার হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেয়েছে টাইগাররা। সবগুলোই ছিলো তিন ম্যাচের সিরিজ।
বুধবার শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে হেরে গেলে পঞ্চমবারের মত হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পাবে বাংলাদেশ। ২০০২ সালে শ্রীলংকার মাটিতে প্রথমবারের মত তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় টাইগাররা। এরপর ২০০৫ সালে আবারো শ্রীলংকা সফরে গিয়ে ৩-০ ববধানে সিরিজ হারে বাংলাদেশ।
দু’বছর পর শ্রীলংকার সফরে গিয়ে তৃতীয়বারের মত হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ। প্রথম তিনবার শ্রীলংকার মাটিতে হোয়াইটওয়াশ হলেও, ২০১৪ সালে নিজ দেশের মাটিতে প্রথমবারের মত লংকার কাছে তিন ম্যাচেই হারে বাংলাদেশ।
তবে এবারের সিরিজ শ্রীলংকার মাটিতে। পুরনো স্মৃতিতে উজ্জীবিত শ্রীলংকা। তাই দেশের মাটিতে আবারো বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিতে উদগ্রীব লংকানরা।
নিজেদের ইতিহাসে এ পর্যন্ত ২৪ বার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের কাছে পাঁচবার, অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলংকার কাছে চারবার করে, দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে তিনবার, ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ের কাছে দু’বার করে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ। তাই ২৫তম বারের মত হোয়াইটশওয়াশ এড়ানোর মিশণে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ।
নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে পাঁচ ম্যাচের সিরিজেও হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে দু’বার। দু’বারই পাকিস্তানের কাছে।
নিজেরা যেমন হোয়াইটওয়াশের স্বাদ নিয়েছে, তেমনি প্রতিপক্ষকেও হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিয়েছে বাংলাদেশ। চার ম্যাচের সিরিজে কেনিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে, তিন ম্যাচের সিরিজে কেনিয়া-আয়ারল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ- নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান-জিম্বাবুয়েকে (দু’বার) হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দেয় বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে প্রতিপক্ষকে দু’বার হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। দু’বারই জিম্বাবুয়েকে।
সূত্র: বাসস