ঢাকাTuesday , 30 July 2019
  1. Correspondent
  2. English News
  3. আজকের ময়মনসিংহ
  4. আদালত
  5. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  6. ইসলাম ও জীবন
  7. এক্সক্লুসিভ ময়মনসিংহ
  8. করোনা আপডেট
  9. করোনায় সহযোগীতা
  10. খেলার সংবাদ
  11. চাকুরী
  12. ছবি গ্যালারী
  13. জাতীয় অহংকার
  14. জাতীয় নির্বাচন ২০১৮
  15. জাতীয় সংবাদ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

৫০ জেলায় ডেঙ্গু : প্রতিদিন ভাঙছে রেকর্ড

Link Copied!

এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু আক্রান্তের রেকর্ড প্রতিদিনই ভাঙছে। গতকাল গড়ে প্রতি ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ৪৬ জন। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে গতকাল ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল এক হাজার ৯৬ জন। গত রোববার যা ছিল ৮২৪ জন। এবার রাজধানী ছাড়িয়ে গ্রামের দিকেও ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ এ রোগ। ইতোমধ্যে ৫০ জেলায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে গতকাল ভর্তি রোগী ছিল ২৪০ জন। রাজধানীর বাইরেও এডিস মশার বিচরণ রয়েছে বলে স্থানীয় পর্যায়ে আক্রান্তের আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।

রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে এখন রোগীর উপচে পড়া ভিড়। আতঙ্ক এমনভাবে ছড়িয়েছে যে জ্বর হলেই ডেঙ্গু সন্দেহে মানুষ ভর্তি হতে চলে আসছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেড না থাকায় ওয়ার্ডের ফ্লোরে ভর্তি করেও রোগীর চাপ সামলাতে পারছেন না। মেডিসিন ওয়ার্ড জায়গা দিতে না পারলেও সরকারি হাসপাতালের অন্য ওয়ার্ডগুলোতেও ডেঙ্গু রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। তবু রোগীর চাপ সামলানো যাচ্ছে না বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
এ দিকে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আবারো সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা বিনামূল্যে করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। গতকাল সকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা সংবাদ সম্মেলনে সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার কথা আবারো ঘোষণা দিয়েছেন। আর বেসরকারি হাসপাতালে ৫০০ টাকার মধ্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর পরিচালকের নেতৃত্বে একটি তদারকি দল গঠন করা হয়েছে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ ৮ বিভাগীয় পরিচালক, ৬৪ সিভিল সার্জনদের ডেঙ্গুবিষয়ক নির্দেশনা প্রদান করেন ভিডিও কনফারেন্সে। ডেঙ্গুবিষয়ক ‘পকেট গাইড’ সারা দেশে স্বল্প সময়ের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া হবে বলে অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা সাংবাদিকদের জানান।

ডেঙ্গু হলে ফ্লুইড (পানি) ব্যবস্থাপনাই মুখ্য : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাইফ উল্লা মুন্সি জানিয়েছেন, ফ্লুইড ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে করতে না পারলে হেমোরেজিক ও শক সিনড্রোমের রোগীরা দ্রæত আরোগ্য লাভ করবে না। তিনি নয়া দিগন্তকে জানান, বেসরকারি হাসপাতালের চেয়ে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা ফ্লুইড ব্যবস্থাপনায় অনেক বেশি দক্ষ। কারণ সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা প্রতিদিনই সিনিয়রদের কাছ থেকে এসব বিষয়ে শিখতে পারছেন। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে শেখার সুযোগ নেই। বেসরকারি হাসপাতালে মেডিক্যাল অফিসাররাই সারাক্ষণ চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকেন। সিনিয়র চিকিৎসকেরা নির্দেশ দিয়ে তারা চলে যান। অধ্যাপক সাইফ উল্লা জানান, মূলত শিরার মাধ্যমে পরিমাণ মতো স্যালাইন বা অন্যান্য কিছু দেয়াকে ফ্লুইড ব্যবস্থাপনা বলে। প্রস্রাবের মাধ্যমে ও ত্বকের মাধ্যমে দৈনিক যতটুকু ফ্লুইড প্রতিদিন যায় সে পরিমাণ ফ্লুইডই আবার শিরার মাধ্যমে দিতে হয়। বেশি দিলেও সমস্যা হবে আবার কম দিলেও সমস্যা দেখা যাবে। এই ব্যবস্থাপনাটা ঠিকভাবে হয় না বলে রোগী মরে যায়।

এ দিকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১২৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে। পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে ১১৩ জন, শিশু হাসপাতালে ৩৪, হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ৪১, শহীদ সোহরাওয়ার্দীতে ৪৮, বারডেমে ২৩, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭ জন, পুলিশ হাসপাতালে ২১, মুগদা হাসপাতালে ৬০, বিজিবি হাসপাতালে ১০, কুর্মিটোলা হাসপাতালে ৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া রাজধানীর বেসরকারি হাসপাতালে গতকাল ভর্তি হয়েছেন ২৬৫ জন। অবশিষ্ট ২৪০ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বিভাগীয় শহরের মধ্যে ঢাকা বিভাগের অন্যান্য হাসপাতালে ৩৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ১০১ জন, খুলনা বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ১৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪২, বরিশালের হাসপাতালগুলোতে ৬ এবং সিলেট বিভাগের হাসপাতালে ১৬ জন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল ২৯ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৬৩৭ জন। বিভিন্ন হাসপাতালে এখনো চিকিৎসাধীন তিন হাজার ৮৪৭ জন। ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৯ হাজার ৭৮২ জনকে।
ঢাকা মেডিক্যালে আরো ১ জনের মৃত্যু : ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রিতা আক্তার (২৮) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ৮টা ২৮ মিনিটে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রিতা। তিনি গত ২৬ জুলাই থেকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। রিতা ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার আউলিয়া পাড়া গ্রামের শাহাবুদ্দিনের মেয়ে। ঢামেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা: নাছির উদ্দীন জানান, এ নিয়ে ঢামেকে জুনে ১ জন ও জুলাইয়ে ৬ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন।

রিতার ভগ্নিপতি সোহেল জানান, রিতা গাজীপুরের টঙ্গী বিসিক এলাকায় থাকতেন। একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন তিনি। বাংলা ট্রিবিউন।
সাভারে একজনের মৃত্যু : সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা জানান, সাভারে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গতকাল সোমবার দুপুরে এনাম মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত জুয়েল মাহমুদ নয়নকে (৩৮) গত শনিবার রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে ফেরত পাঠানো হয়। পরে স্বজনরা তাকে সাভারের এনাম মেডিক্যালের আইসিইউতে ভর্তি করেন। নিহত জুয়েল মাহমুদ নয়ন ধামরাই উপজেলার কুল্লা গ্রামের দলিল উদ্দিনের ছেলে। জানা যায়, পাঁচ-ছয় দিন ধরে ডেঙ্গু রোগে ভুগছিলেন জুয়েল। গত শনিবার তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক অবস্থা আশঙ্কাজনক বললে তাকে পপুলার হাসপাতাল ও পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলেও ফেরত পাঠানো হয়। নিহতের শ্যালিকা ঝর্ণা আক্তার জানান, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে আমরা প্রথমে সরকারি হাসপাতালেই ভর্তি করি। শেষ পর্যন্ত গত ২৭ জুলাই সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।

কোরিয়া যাওয়া হলো না শান্তর : নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে শান্ত। বাবা জসিম উদ্দিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়। মা মাকসুদা বেগম গৃহিণী। বাবা-মায়ের কষ্ট লাঘবে সংসারের হাল ধরতে স¤প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার ভিপি লটারি ধরে। আর সেই লটারি পেয়েও যায়। সাথে সাথে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার কপালটাও খুলে যায়। ঈদের পর বিদেশ পাড়ি দেয়ার কথা ছিল। তার স্বপ্নের সাথে সাথে পরিবারের স্বপ্ন আরো বেড়ে যায়। কিন্তু ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে রোববার বিকেলে ঢাকা মেডিক্যালে মারা যান শান্ত (২৪)। ছেলের মৃত্যুতে তার বাবা-মায়ের সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। গত ১৭ জুলাই ঢাকার ফার্মগেটে কোরিয়ান একটি ট্রেনিং সেন্টারে বিদেশ যাওয়ার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ নেয়ার সময় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় শান্ত। পরে ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববারে তিনি মারা যান। নিহত শান্ত গত বছর বক্তাবলীর গড়কুল উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন।

দিনাজপুর হাসপাতালে ভর্তি ১১ : দিনাজপুর সংবাদদাতা জানান, গত দু’দিন থেকে ডেঙ্গু রোগী দিনাজপুর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। গতকাল সোমবার আক্রান্ত ১১ জন রোগী দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা সবাই ঢাকায় আক্রান্ত হলেও সেখানকার হাসাপাতালগুলোতে জায়গা না পেয়ে দিনাজপুরে এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ভর্তি হওয়া ১১ জনের মধ্যে দুইজনই ছাত্র। যারা ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে লেখাপড়া করেন। অন্য চারজন কর্মজীবী। হাসপাতালের পরিচালক ডা: আবু মো: খইরুল কবির জানান, ডেঙ্গু রোগী শনাক্তকরণের প্রয়োজনীয় যন্ত্র না থাকায় তার চাহিদাপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সুনামগঞ্জে আতঙ্ক : সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, হাওরের জেলা সুনামগঞ্জে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত তিন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিনজনই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে সুনামগঞ্জে এসেছেন। তাদের একজনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আর দু’জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে পাঠানো হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা: আশুতোষ দাশ জানান, সুনামগঞ্জে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়ে তিনজন চিকিৎসাসেবা নিতে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে আসেন।
টাঙ্গাইলে হাসপাতালে ভর্তি ২০ জন : টাঙ্গাইল সংবাদদাতা জানান, গত চার দিনে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অন্তত ২০ জন। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা: নারায়ণ চন্দ্র সাহা নয়া দিগন্তকে বলেন, তারা সবাই ঢাকায় গিয়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। পরে পরীক্ষা করে তাদের শরীরে ডেঙ্গু জ্বরের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। সোমবার দুপুর পর্যন্ত ২০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালের ৪ নম্বর ও ৫ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে একজনকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। অন্য ১৯ জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মানিকগঞ্জে বাড়ছে সংখ্যা : মানিকগঞ্জ ও ঘিওর সংবাদদাতা জানান, গত ৮ দিনে মানিকগঞ্জে শিশুসহ ২৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। এসব রোগীদের বেশির ভাগই মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সারা দেশের মতো মানিকগঞ্জে ডেঙ্গুর বিস্তারে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন মানুষজন। এ ছাড়া আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কারণ এই হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষার কিট ও রি-এজেন্ট না থাকায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। গত রোববার এক দিনে বাবা, মেয়ে ও স্কুলছাত্রসহ পাঁচজন ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহে রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ জনে।
বগুড়ায় ৭৭ জন আক্রান্ত : বগুড়া সংবাদদাতা জানান, জেলায় ৭৭ জন ডেঙ্গুআক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ৪০ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন সাতজন। ২৪ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ও ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে । মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতাল ছাড়াও চিকিৎসাধীন আছেন চারজন বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়ার শামসুন নাহার কিনিকে ও তিনজন ডক্টরস ক্লিনিকে । আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার হালিমুর রশিদের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। শজিমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাক্তার মো: আরিফুর রহমান তালুকদার জানান, বøাড সেল সেপারেটর মেশিন নেই । অনেক আগে একটি সংস্থা দু’টি মেশিন দিলেও তা অকেজো হয়ে পড়ে আছে।

রংপুর মেডিক্যালে ৩৫ জন : রংপুর অফিস জানায়, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গতকাল সোমবার বিকেল পর্যন্ত ৩৫ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে ৩২ জনই ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে এখানে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনজন স্থানীয়। সবারই বাড়ি রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন জেলায়। এ দিকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকলেও ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা ভালোই চলছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক। অন্য দিকে সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, রংপুর মহানগরীতে বর্তমানে এডিস মশা কিংবা ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। ঢাকায় আক্রান্তরাই রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়েছে। নিয়োগ দেয়া হয়েছে ২০০ মশক নিধন কর্মী। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা: সুলতান আহাম্মেদ নয়া দিগন্তকে জানান, হাসপাতালে প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরো সাতজন ভর্তি হয়েছেন।

কিশোরগঞ্জে রোগী ১১১ : কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, জেলা সিভিল সার্জন অফিসের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ২০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। গত কয়েক দিনে আক্রান্ত অন্তত ১৫ জনকে জরুরি অবস্থায় ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা: হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা এ পর্যন্ত ১১১ জনেরও বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর লিস্ট পেয়েছি। তবে আক্রান্ত রোগীদের প্রায় সবাই ঢাকা থেকে সংক্রমিত হয়ে এসেছে বলে তিনি জানান।
সাতক্ষীরায় প্রচারাভিযান : সাতক্ষীরা সংবাদদাতা জানান, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৯ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তারা সবাই সাতক্ষীরা সদর ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ২২ জুলাই থেকে গত রোববার পর্যন্ত এসব রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে এরই মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ পালনসহ নানা ধরনের জনসচেতনতামূলক প্রচারাভিযান শুরু করা হয়েছে। এ দিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে জেলায় মোট ৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপতালে ভর্তি করায় সাতক্ষীরাবাসীর মধ্যে ডেঙ্গু আতঙ্কে বিরাজ করছে।

মুন্সীগঞ্জে পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই : মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে নেই ডেঙ্গুজ্বর শনাক্ত করার যথাযথ ব্যবস্থা। মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালসহ জেলা-উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ডেঙ্গু শনাক্তের ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী ও স্বজনেরা। নিরুপায় হয়ে রোগীদের ছুটতে হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালে। সোমবার বিকেল পর্যন্ত সাতজন ডেঙ্গু জ্বর রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে সরকারিভাবে ডেঙ্গু জ্বরের দ্বিতীয় ধাপের সিবিসি ও প্লাটিলেট পরীক্ষা করা গেলেও ডেঙ্গু আক্রান্তের শনাক্তের জন্য প্রথম ধাপ এন্টিজেন টেস্ট ও এন্টি বডি টেস্ট হাসপাতালে করা যায় না।

আগৈলঝাড়ায় ৪ জন শনাক্ত : আগৈলঝাড়া (বরিশাল) সংবাদদাতা জানান, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার ৫০ শয্যা হাসপাতালে চারজন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। উপজেলা হাসপাতালে কোনো চিকিৎসা না থাকায় অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।