বিশ্বকাপে মাহমুদুল্লাহকে বাদ দিতে বলেছিলেন সাকিব, শোনেননি মাশরাফি

বাজে সময় পার করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বিশ্বকাপে হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর শ্রীলঙ্কার মাটিতে টানা দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ হার। বেরিয়ে আসছে দলের ভেতরের নানা সমস্যা। কিছুদিন আগে বিসিবি সভাপতিও বলেছিলেন নানা সমস্যার কথা। এবার বেরিয়ে এলো আরও ভয়ংকর তথ্য।

বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্লো ব্যাটিংয়ের কারণে মাহমুদউল্লাহর উপর খেপে যান সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। অধিনায়ক মাশরাফিকেও বলেছিলেন মাহমুদউল্লাহকে বাদ দিতে, তবে সাকিবের কথা শোনেননি মাশরাফি। অফিসিয়ালি এ সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে দেশীয় এক জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে বিষয়গুলো জানা যায়।

ক্রিকেটবিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বাংলাদেশ দলের ভেতরের এমন সমস্যার চিত্র।

বিশ্বকাপে ইংলিশদের বিপক্ষে ম্যাচে শেষ ২০ ওভারে ১৯০ এর মতো দরকার ছিল! ড্রেসিং রুমে সবার বিশ্বাস ছিল এটা উতরানো যাবে। কিন্তু মাহমুদুল্লাহর উদাসীন ইনিংস (৪১ বলে ২৮) পছন্দ হয়নি সাকিবের। মাশরাফিকে বলার পরও যখন কথা রাখেননি, তখন সাকিব নিজেকে সরিয়ে নেন দলের পরিকল্পনা থেকে।

সতীর্থদের সমর্থন না পেয়ে মাহমুদউল্লাহ নাখোশ ছিলেন। ব্যাটিং অর্ডার নিয়েও তার অসন্তুষ্টি ছিল। বিশ্বকাপে ছয় নম্বরে ব্যাটিং করতে নামতেন তিনি। মাহমুদুল্লাহ মনে করতেন তার আরও উপরে ব্যাটিং করার সামর্থ আছে। পরের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দলে ছিলেন। কিন্তু তাকে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি। সাকিবের ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ জিতে যায় সহজেই। এর পরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করেন মাহমুদউল্লাহ। এই ম্যাচে তিনি ৫০ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন।

বিশ্বকাপে হাফসেঞ্চুরি করার পরই মাহমুদউল্লাহ আচরণ সতীর্থদের চমকে দেয়। তিনি মনে করেন, ভালো ইনিংস খেলার পরও সতীর্থরা সমর্থন দিচ্ছেন না। সময়টা এখনো ভালো যাচ্ছে না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৯ রান। প্রথম ম্যাচে ৩ ও দ্বিতীয় ম্যাচে আউট হন ৬ রান করে। একটি ক্যাচও মিস করেন শুরুর ম্যাচে।

এর আগে বিসিবি সভাপতি জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে তিনি একাদশ ঠিক করে দেওয়ার পরও ভিন্ন দল নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘আমি আগেরদিন রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত টিমের খেলোয়াড়দের সাথে। ওখানে একটা প্ল্যান হয়েছে। মুশফিকের হাতে স্লিং লাগানো। মুশফিক স্কোয়াডে ছিল না। মাশরাফি আগের দিন থেকেই নেই। প্র্যাক্টিসও করেনি প্ল্যানিং স্ট্রাটেজিতেও ছিল না। মাশরাফিও ছিল না ওই ম্যাচে। আমরা স্কোয়াড ঠিক করলাম। সব ঠিক হলো কোচ ওয়াজ দেয়ার, এভরিবডি দেয়ার। পরদিন মাঠে দেখি অন্য টিম নামছে। এগুলো তো এর আগে কখনও হয়নি। তাই এখানে অবশ্যই সমস্যা আছে। এটা নিয়ে কথা বলার কিছু নেই।’

Share this post

scroll to top