বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও কৃষকদলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, গত এক শতাব্দীতে এরকম একজন অযোগ্য আইনমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণ প্রত্যক্ষ করেনি। আজ রাস্তায় বের হতে ভয় লাগে।
‘কেউ জানেনা কখন কাকে কোথায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়। অথচ আইনমন্ত্রী এসব ঘটনাকে বিরোধী দলের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছেন।’
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’ নামক একটি সংগঠন আয়োজিত কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেয়ার দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এ সব কথা বলেন।
দুদু বলেন, দেশে আজ কোনো সরকার আছে বলে দেশবাসী মনে করে না। তিন বছরের শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত কেউ ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। গণপিটুনির নামে দেশজুড়ে মানুষ হত্যার মহোৎসব শুরু হয়েছে।
আইনমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়ন ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহা দেশদ্রোহিতামূলক নালিশ করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পরও আইনমন্ত্রী বলেছেন- ‘এটা দেশদ্রোহী বক্তব্য নয়, একটা ছোট্ট একটা ঘটনা’। এর পরও কি আমরা আইনমন্ত্রীকে যোগ্য বলতে পারি?
বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, দেশে খুন-ধর্ষণের মহোৎসব চলছে, গণপিটুনিতে মানুষ হত্যা শুরু হয়েছে- কেউ দেখার নেই। যদি তাই হয় তবে সরকারেরই বা কি দরকার আছে?
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রসঙ্গে দুদু বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়াকে যদি মুক্ত করতে হয় আন্দোলন ও প্রতিবাদ ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পথ নেই।
নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আমরা মনে করি, প্রতিবাদ ও আন্দোলন ছাড়া এই দেশে বেঁচে থাকা অসম্ভব। তাই আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলি। রাজপথে নামি। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করি। গণতন্ত্রকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করি।