সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জায়ান্ট ফেসবুক ভেঙে তিনটি পৃথক কোম্পানি করার প্রস্তাব দিয়েছেন এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ক্রিস হিউজ। মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসে গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক নিবন্ধে হিউজ এই প্রস্তাব করেন। তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তার এমন আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে।
নিউ নিয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত ওই নিবন্ধে হিউজ লিখেছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচিত এখনই ফেসবুক ভেঙে দেয়া। তার মতে, জাকারবার্গ বিশ্বে একচ্ছত্র ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছেন। তার মতো ক্ষমতা কোনো বেসরকারি কোম্পানি তো দূরের কথা কোনো সরকারের কারো নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা দেশটির বিচার বিভাগের কাছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে ‘অ্যান্টি-ট্রাস্ট তদন্ত’ চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্লেষকরাও বলছেন, ফেসবুক এখন এত সুবিশাল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে যে, তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকলেও নানা বিতর্কের সঙ্গী হয়েছে ফেসবুক। গ্রাহকের তথ্য চুরি, ভুয়া তথ্য প্রচার, নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার, তথ্য বিনিময় করার চর্চা, ঘৃণিত বক্তব্য ও ভুয়া খবর ছড়ানো ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগ আছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় ২০০৪ সালে ক্রিস হিউজসহ কয়েকজন বন্ধুর যৌথ উদ্যোগে মার্ক জাকারবার্গ ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেন। ফেসবুক যে বিশাল পরিসর নিয়ে সর্বব্যাপী ক্ষমতার আকরে পরিণত হয়েছে সেই একক আধিপত্যের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিউজ।
হিউজ লিখেছেন, ‘মার্ক খুব ভালো আর সদয় মানুষ। কিন্তু আমার ক্ষোভ অন্য জায়গায়। লাভের লোভে পড়ে তিনি নিরাপত্তা বিষয়টি এবং ক্লিকের লোভে সহনশীলতাকে বিসর্জন দিয়েছেন। আমি আরো হতাশ মার্ক তার আশপাশে এমন মানুষদের রেখেছে, যারা তাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে না।’ হিউজের এমন প্রস্তাবের পর ফেসবুক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমরা স্বীকার করছি সফলতার সাথে দায়িত্ববোধের বিষয়টি গ্রহণ করা উচিত। তাই বলে যুক্তরাষ্ট্রের এরকম একটি সফল প্রতিষ্ঠানকে ভেঙে দায়িত্বশীলতা চাপানোর প্রস্তাবটি অযৌক্তিক।’
সূত্র : রয়টার্স