শনিবার (১১ মে) দুপুরে লম্পট শিক্ষা অফিসার মাজেদুল ইসলামকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে সদর উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
ধর্ষণের শিকার গৃহকর্মী জানান, প্রায় ১ বছর আগে সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের মোতালেব মাস্টারের ছেলে মাজেদুল ইসলামের বাসায় ঝি-এর কাজ নেন। মাজেদুল ইসলাম মেলান্দহ উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছে। তার স্ত্রী নাজমা আক্তারও একজন স্কুল শিক্ষিকা। কিছুদিন কাজ করার পর থেকেই গৃহকর্তা মাজেদুল ইসলাম স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে প্রতি শনিবার তাকে নানাভাবে যৌন হয়রানি করে। এক পর্যায়ে তাকে হাত ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে এবং এ ঘটনা ফাঁস না করার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরপর থেকেই প্রতি শনিবার স্ত্রী স্কুলে চলে যাবার পর নিয়মিত তাকে ধর্ষণ করে আসছিল। এ অবস্থায় শাররিক গঠন পরিবর্তন দেখা দিলে চতুর শিক্ষা অফিসার মাজেদুল ইসলাম দুই মাস আগে তাকে পার্শ্ববর্তী পিঙ্গল হাটি গ্রামে বিয়ে দেয়।
এদিকে বিয়ের দুইমাস পার হলেও গৃহবধূ আকলিমার ঋতুস্রাব না আসায় তার শাশুরি ঔষধ খাওয়ানোর পর ৭ মাসের একটি মৃত ছেলে সন্তান প্রসব করে। বিয়ের দুই মাসের মাথায় ৭ মাসের বাচ্চা প্রসব করায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। লোকলজ্জার ভয়ে স্বামী পরিবার সদ্য ভূমিষ্ট মৃত সন্তানসহ গৃহকর্মীকে বাবার বাড়িতে রেখে যায়।
এ ঘটনা জানাজানির পর সে প্রতিবেশীদের কাছে গৃহকর্তা মাজেদুলের পাশবিক যৌন নির্যাতনের কাহিনী খুলে বললে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী মাজেদুলের বাড়ি ঘেরাও করে বিচারের দাবি করে। ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর থেকেই মাজেদুল পলাতক রয়েছে।
জামালপুর সদর অফিসার ইনচার্জ মো: সালেমুজ্জামান জানান, গৃহকর্মীর উপর পাশবিক যৌন নির্যাতনের ঘটনায় মাজেদুল ইসলামকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, গর্ভের মৃত সন্তানের ময়নাতদন্ত ও শিশুটির ডিএনএ টেষ্টের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও গৃহকর্তা মাজেদুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
জামালপুর জেলা শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, এই ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্য ওই সহকারী শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সূত্রঃ নতুন সময়