বান্দরবানে মাত্র একদিনের ব্যবধানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আরো একজন জনসংহতি সমিতির সমর্থক নিহত হয়েছেন। তার নাম জয় মনি তঞ্চঙ্গ্যা (৫২)। জানা যায়, তার ছেলে জনসংহতি সমিতির স্থানীয় নেতা রিপন তঞ্চঙ্গ্যাকে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কুহালং ইউনিয়নের বিকুক ছড়ার ৩ নং রাবার বাগান এলাকায়। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি টহল দল অভিযানে নেমেছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে একদল সন্ত্রাসী রাজবিলা ইউনিয়নের তাইংখালী এলাকায় হানা দিয়ে জনসংহতি সমিতির কর্মী বিনয় তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। সন্ত্রাসী অপহরণ করে নিয়ে যায় অপর কর্মী পুরাধন তঞ্চঙ্গ্যাকে। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই কাছাকাছি এলাকা কিবুক ছড়ায় আবারো রক্ত ঝড়লো।
কুহালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সানু প্রু মারমা জানান অন্ত্রধারী ৫ সন্ত্রাসী ৩ নং রাবার বাগান এলাকার তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ায় হানা দিয়ে জনসংহতি সমিতির স্থানীয় নেতা রিপন তঞ্চঙ্গ্যাকে (২৮) খোঁজ করে। তাকে ঘরে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা তার বাবা জয়মনি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। নিহত জয়মনি এলাকায় লাকড়ি ও কাঠের ব্যবসা করতো।
এ ঘটনার পর কিবুক ছড়া ও রাজবিলা এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে আতংক-উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। আতংকের মধ্যে দিন কাটচ্ছে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতির সহযোগী সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতা কর্মীরা।
কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনা জানা না গেলেও জনসংহতি সমিতির নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, মিয়ানমারের দলছুট বিদ্রাহী গ্রুপ আরাকান লিবারেশন আর্মির সদস্যরা এই হত্যার সাথে জড়িত রয়েছে। গ্রুপটি স্থানিয়ভাবে মগ বাহিনী নাামেও পরিচিত।
তবে প্রশাসনের পক্ষ হতে এখনো বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়েছে। লাশ উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা এখনই বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।
এদিকে স্থানিয়দের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জনসংহতি সমিতির সাথে দলছুট আরাকান লিবারেশন আর্মি প্রকাশ মগ বাহিনীর মধ্যেকার চলমান দ্বন্দ্বের জের ধরে একে অপরের প্রতি প্রতিশোধ নিতেই একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটেছে।