র্যাবের দায়ের করা মামলায় কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমকে ১৪ বছরের সাজা দিয়েছে আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে কক্সবাজার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিজ্ঞ বিচারক খন্দকার হাসান মাহমুদ ফিরোজ এ রায় ঘোষণা করেন। জাহাঙ্গীর আলমের আইনজীবি অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন দৈনিক নয়া দিগন্তকে জানান, অস্ত্র আইনে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে একটিতে ১৪ বছর ও অপরটিতে ৭ বছর মোট ২১ বছর সাজা দিয়েছে আদালত। তবে এ সাজা একের পর এক ভোগ করবে না যৌথভাবে ভোগ করবে, তাই সর্বোপরি মোট ভোগ্য সাজা ১৪ বছরই বলা যায়।
তিনি আরো বলেন, ‘আমার মক্কেলের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য আমরা উচ্চ আদালতের আশ্রয় নেব।’
এ প্রসঙ্গে সরকারি কৌসুঁলি অ্যাডভোকেট মমতাজুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে জানান, ‘জাহাঙ্গীর আলমকে আদালত আজ ১৪ বছরের সাজা দিয়েছে। তার পূর্ণাঙ্গ সাজা এখনো কাউন্ট করিনি। তবে আমি ঠিক শিউর না কেননা অস্ত্র ও গুলির বিষয় রয়েছে।’
জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৩ আগস্ট রাত ৩টার দিকে র্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর রুহুল আমিনের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল যুবলীগ নেতা ও সে সময়ের কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে তিনিসহ তার চার সহোদরকে আটক করে নিয়ে যান।পরে জাহাঙ্গীরের ছোটভাই ওসমান সরওয়ার বাপ্পিকে ছেড়ে দিলেও তার অপর তিন ভাই আলমগীর (৪২), আজমগীর প্রকাশ আজম (৩৮) ও মোহাম্মদ কাইয়ূমকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। কয়েকমাস জেল খেটে সবাই জামিনে মুক্ত হয়। ওইসময় র্যাব বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করে, যার এসটিপি নং ১৫৮/১৭।