আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ : কী হয়েছিল সেদিন

“ড্রেসিংরুমে সকালে আর বিকালে সম্পূর্ণ ভিন্নরকম ছিল ওই সময়, আমরা আসলে আয়ারল্যান্ড দল নিয়ে খুব বেশি জানতাম না,” বলছিলেন ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হাবিবুল বাশার।

আয়ারল্যান্ডের সেই দলে ছিল ইংল্যান্ডের বর্তমান ওয়ানডে দলের অধিনায়ক এউইন মরগ্যান।

“ওদের দলে মরগ্যান, বয়েড র‍্যানকিনের মতো ক্রিকেটার ছিলেন, তবে আমাদের মধ্যে তেমন ইনফরমেশন ছিল না এবং আমরা খুব আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, সেই বিশ্বকাপ যেভাবে খেলছিলাম আমরা ভেবেই নিয়েছিলাম এই ম্যাচটা আমরা জিতে যাবো,” হাবিবুল বাশারের স্মৃতিচারণে ২০০৭ সালের ১৫ এপ্রিল।

ঐ হার অনেক বড় ধাক্কা ছিল বলে মনে করেন বাংলাদেশের অন্যতম সফল এই অধিনায়ক।

এই বিশ্বকাপকে বলা হয় বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা বিশ্বকাপ। সেখানে এই হারটা মেনে নেওয়ার মতো ছিল না বলেন হাবিবুল বাশার।

বাশার বাংলাদেশের হয়ে ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত খেলেন, ২০০৩-০৪ মৌসুম থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক কমিটিতে রয়েছেন।

কেমন ছিল ম্যাচের গতিপথ
২০০৭ বিশ্বকাপের সুপার এইটের ম্যাচে বারবাডোজের ব্রিজটাউনে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক ট্রেন্ট জনসন ।

শুরুতেই আইরিশরা একটা শক্ত জুটি গড়ে তোলে। ২৫ ওভার ৩ বল ব্যাট করে পোর্টারফিল্ড ও ব্রে ৯২ রান তোলেন।

এরপর ইংল্যান্ডের বর্তমান অধিনায়ক এইউন মরগ্যান, যিনি তখন আয়ারল্যান্ডের ক্রিকেটার ছিলেন, তিনিও প্যাভিলিয়নে ফিরে যান রান আউট হয়ে।

ঐ ম্যাচে মোট চারজন আইরিশ ব্যাটসম্যান রান আউট হন। ১২৮ রানে ৩ উইকেট পড়লেও, কেভিন ও’ব্রায়ান ও ট্রেন্ট জনসন ভালো জুটি গড়েন।

ও’ব্রায়ান ৪৪ বলে ৪৮ ও ট্রেন্ট জনসন ২৩ বলে ৩ রান তুলেন।

যার ফলে আইরিশদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৪৩ রানে ৭ উইকেটে।

বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামা পরেই আইরিশদের ধীরগতির মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে হিমশিম খাওয়া শুরু করে।

তামিম ইকবাল ধীর গতিতে ব্যাট করে ৫৯ বল খেলে ২৯ রান তোলেন।

শাহরিয়ার নাফিসও আউট হয়ে যান ১৮ বলে ৭ রান করে।

৪৮ রানে তিনটি ও ৯৩ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

মিডল অর্ডারে খানিকটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন মোহাম্মদ আশরাফুল, যিনি ৩৫ রান করে র‍্যানকিনের বলে ক্যাচ তুলে দেন।

এরপর ৩২ রান করা অধিনায়ক হাবিবুল বাশারও প্রতিপক্ষ অধিনায়ক ট্রেন্স জনসনের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান সাজঘরে।

৪১ ওভার ২ বল ব্যাট করে ১৬৯ রানে অল আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।

ঐ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভারতকে গ্রুপ পর্বে হারিয়ে সুপার এইটে জায়গা করে নিয়েছিল।
সূত্র : বিবিসি

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top