ঢাকাThursday , 9 May 2019
  1. Correspondent
  2. English News
  3. আজকের ময়মনসিংহ
  4. আদালত
  5. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  6. ইসলাম ও জীবন
  7. এক্সক্লুসিভ ময়মনসিংহ
  8. করোনা আপডেট
  9. করোনায় সহযোগীতা
  10. খেলার সংবাদ
  11. চাকুরী
  12. ছবি গ্যালারী
  13. জাতীয় অহংকার
  14. জাতীয় নির্বাচন ২০১৮
  15. জাতীয় সংবাদ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নওমুসলিম ফাতিমার রোজা ও তারাবি

Link Copied!

এবারের রমজানটি বিশেষ ফাতিমা বাকসালের জন্য। কারণ এবারই জীবনে প্রথম তারাবি নামাজ আদায় করেছেন এই নওমুসলিম নারী। ফিলিপাইনের নাগরিক ফাতিমা কর্মসূত্রে থাকেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। দেড় বছর আগে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। শান্তির ধর্ম ইসলামের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ফাতিমা এই মতবাদ গ্রহণে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি।

ইসলাম গ্রহণের পর গত বছর প্রথম রোজা পেলেও রাতের শিফটে কাজ করার কারণে তারাবি নামাজ আদায় করতে পারেননি মসজিদে গিয়ে। এ বছর সেই সুযোগ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছেন। তারাবিসহ রমজানের বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ইবাদতে ইসলামের প্রতি মুগ্ধতা ক্রমশই বেড়ে চলছে তার। প্রতিদিন নতুন কোন না কোন বিষয়ের সাথে পরিচিত হচ্ছেন, দ্রুত সেটি আয়ত্ব করে নিচ্ছেন।

ফাতিমা বলেন, এবার মনে হচ্ছে রমজানে আল্লাহর রহমত পুরোপুরি আমার সাথে আছে। সব কিছুই নিজের সুবিধা মতো করতে পারছি। বলেন, ‘গত বছর রমজানে রাতের শিফটে কাজ করতে হয়েছে। কাজেই রোজা রাখা ছিলো কঠিন। নও মুসলিম হিসেবে যথাযথ সুযোগ পাইনি, যেটা এখন পাচ্ছি। এবার তারাবির নামাজ আদায় করছি নিয়মিত। দুবাইয়ের একটি ইসলামিক সেন্টারে(মসজিদ) গিয়ে মুসলিমদের ব্যাপক সহযোগিতা পাচ্ছি’।

আবেগতাড়িত ফাতিমা জানান, প্রথম দিন তারাবিতে গিয়ে তার মনে হয়েছে আল্লাহ সরাসরি তাকে পথ দেখাচ্ছেন। এই নওমুসলিম বলেন, মসজিদে ঢোকার সাথে সাথেই এক নারীকে পেলাম যিনি আমাকে সবকিছু বুঝিয়ে দিয়েছেন। আমি তাকে বললাম যে, এটি আমার জীবনের প্রথম তারাবি। শোনার পর তিনি ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে আমাকে সব শেখানো দায়িত্ব নিলেন। যদিও নামাজের নিয়মগুলো আমি আগেই জেনেছি, তবু প্র্যাকটিক্যালি কাউকে দেখে নামাজ আদায় করা জরুরি ছিলো।

ফাতিমা বলেন, তারবি শেষ করে মনে হচ্ছে অনেক কিছু অর্জন করলাম। পরিপূর্ণ তৃপ্তি নিয়ে মসজিদ থেকে বের হলাম। আল্লাহকে ধন্যবাদ দিলাম দ্রুত সব কিছু শেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।

ফাতিমা মনে করেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করার কারণে তার ইসলাম সম্পর্কে- এর শিক্ষা, শান্তি, একতা, সহিষ্ণুতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া সহজ হয়েছে। রুমমেট ও কর্মস্থলে কলিগদের কাছ থেকেও খুব সহযোগিতা পাচ্ছেন।

রোজা রাখার কারণে বাসায় রুমমেটদের কাছ থেকে বিভিন্ন সহযোগিতা পাচ্ছেন। সেখানে যারা রোজা রাখে না তারা কেউ দিনের বেলা তার সামনে খাবার গ্রহণ করে না বলে জানান ফাতিমা। কেউ কেউ তার দেখাদেখি রোজা রাখার চেষ্টা করছে। ফাতিমা বলেন, আমার অ্যাপার্টমেন্টে যাদের সাথে থাকি, তাদের মধ্যে আমিই একমাত্র মুসলমান। একাই রোজা রাখছি। তবে অন্যরা আমাকে ও আমার ধর্ম বিশ্বাসকে যথেষ্ট শ্রদ্ধা করে। মাগরিবের নামাজের আজান হলে তারাও আমার সাথে ইফতার করতে বসে যায়।

ফাতিমার পরিবারের সবাই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। তারা থাকে ফিলিপাইনে। ফাতিমা বলেন, আমার ইসলাম ধর্ম গ্রহণের বিষয়টি তারা সহজভাবে নিয়েছে। কেউ কেউ ফোন করে খোঁজ নেয় আমি ঠিক মতো রোজা রাখতে পারছি কি না।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।