ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে শ্যালকের ঘরে আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে সন্ধ্যায়ই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের বারইগ্রাম গ্রামের মরহুম তাজ্জত আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেন থানায় দেয়া লিখিত অভিযোগে জানান, রোববার রাতে বাড়ি ফেরার পথে ভগ্নিপতি আব্দুল খালেক ও তার লোকজন বিল্লালের পথরোধ করে তাকে প্রাণে মেরে ফেলতে চেয়েছে। পরে কৌশলে সেখান থেকে দৌড়ে পাশের একটি বাড়িতে ঢুকে পড়লে তাকে আর মারতে পারেনি। পরে ক্ষুব্ধ ভগ্নিপতি গভীর রাতে বিল্লালের বসতঘর ও রান্নাঘরে আগুন দেয়। আগুন দেখে বিল্লাল চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এসে আগুন নেভায়।
বিল্লালের পারিবারিক সূত্রে জানা য়ায়, তার আরো তিনটি বোন আছে। তার বাবা তাজ্জত আলী প্রথম স্ত্রীর সংসারে দুই মেয়ে হওয়ায় ছেলের আশায় দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম হয়। গত প্রায় চার বছর আগে তাজ্জত আলী মারা যাওয়ার পর তার রেখে যাওয়া সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ তৈরি হয় ভাই বোনের মধ্যে। বিল্লালের সৎ বোনের বিয়ে হয় বাড়ির পাশেই আবদুল খালেকের কাছে। সম্পত্তির জন্য বিল্লালের ওপর নানা ভাবে চাপ শুরু হয়।
গেল জানুয়ারিতে বিল্লালের ভগ্নিপতি ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে বিল্লাল থানায় একটি নন এফআইয়ার প্রসিকিউশন দাখিল করেন। জোরপূর্বক জমি দখল করে ধানের চারা রোপণের অভিযোগে করা হয় অভিযোগটি। বিষয়টি আদালত থেকে নিষ্পত্তি করা হয়। বিল্লালের শান্তি ভঙ্গের কারণ সৃষ্টি করলে ভগ্নিপতি আবদুল খালেকসহ অন্যরা দায়ী থাকবেন বলে আদালতে মুচলেকা দেয়।
সোমবার সন্ধ্যায় বিল্লালের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া জিনিসপত্রের স্তূপ থেকে ধোয়া বেরুচ্ছে।
বিল্লাল বলেন, বাড়িতে ঘর করার জন্য টিন, ইট, বালুসহ সব ধরনের সরঞ্জাম এনেছেন। কিন্তু ভগ্নিপতি ও বোনেরা তাকে বাড়িতে ঘর করতে দিচ্ছে না। তাকে নানা ভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। বাড়িতে আগুন দিয়েছে।
আবদুল খালেক ও অন্যান্য অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। আবদুল খালেকের বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায় বিল্লালের সৎ মা হাজেরা খাতুনকে। তিনি বলেন, তার সতীনের ছেলে বিল্লাল নিজের রান্না ঘরে আগুন লাগিয়ে নাটক সাজিয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার এসআই সজীব ঘোষ বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।