অবশেষে রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে মুক্তি দিল মিয়ানমার

মিয়ানমারে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রয়টার্সের দুই সাংবাদিক ওয়া লোনে (৩৩) ও কিয়া সোয়ে (২৯) মুক্তি পেয়েছেন।

ইয়াঙ্গুনের কাছে একটি কারাগারে ৫১১ দিন কারাভোগের পর আজ মঙ্গলবার ছাড়া পেলেন রোহিঙ্গা নির্যাতন নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা ওই দুই সাংবাদিক।

২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দেশটিতে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর চালানো হত্যাযজ্ঞের খবর প্রকাশ করায় রাষ্ট্রদ্রোহের মিথ্যা মামলায় তাদের আটক করা হয়।

রাখাইনের একটি গ্রামে ১০ নিরীহ রোহিঙ্গাকে বসিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। অনুসন্ধানী এ খবরটি সচিত্র রয়টার্সে প্রকাশ করায় মূলত তাদের ওপর ক্ষুব্ধ হয় দেশটির সামরিক জান্তারা।

পরে প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁস’ করার অভিযোগ এনে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

তাদের আটকের ঘটনাটি সারা বিশ্বে মিয়ানমারের গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ ও মুক্ত সাংবাদিকতায় বিরাট বাধা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্বের অনেক দেশেই তাদের মুক্তির দাবিতে সাংবাদিকরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিল।

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নতিস্বীকার করে অবশেষে রয়টার্সের এই সাংবাদিকদের মুক্তি দিতে বাধ্য হলো মিয়ানমার।

জেল থেকে মুক্তি পেয়ে ওয়া লোনে সাংবাদিকদের বলেন, সত্য প্রকাশে কখনও পিছপা হব না। মিথ্যা অভিযোগে জেল-জুলুম আমাকে আমার নীতি থেকে টলাতে পারবে না। সব সময় আমি সত্যটাই বলে যাব।

মিয়ানমারের নববর্ষ উপলক্ষে কয়েক হাজার বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়। তাদের সঙ্গেই রয়টার্সের দুই সাংবাদিককেও মুক্তি দেয় মিয়ানমার সরকার।

বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশ করার জন্য গত মাসে তাদের মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পুলিৎজারে ভূষিত করা হয়। রয়টার্সের নির্বাহী সম্পাদক স্টিফেন জে এডলার বলেন, দুই সাহসী সাংবাদিককে মুক্তি দেয়ায় আমরা যারপরনাই খুশি। সারা বিশ্বে তারা মুক্ত সাংবাদিকতার প্রতীক হয়ে থাকবেন।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top