পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি নিজের আত্মজীবনী বইতে বলেছেন, তার চার মেয়েকে ঘরের বাইরের খেলায় তিনি দেখতে চান না। ঘরের ভেতরে তারা যেকোনো গেমস খেলতে পারবে। কারণ, আমরা মুসলিম। পর্দাকে সম্মান করি।
আত্মজীবনী বইতে নিজের চার মেয়েকে নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন আফ্রিদি।
মামাতো বোন নাদিয়া আফ্রিদিকে বিয়ে করেছিলেন শহীদ আফ্রিদি। দুজনের সংসারে রয়েছে ফুটফুটে চার কন্যাসন্তান- আকসা, আসমারা, আনশা, আজওয়া। মেয়েদের নিয়ে বেশ গর্বিত আফ্রিদি, ‘গত কয়েক বছরে চার মেয়ের বাবা হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। সত্যি বলতে কী, একেকজনের জন্মের পর আমার ভাগ্যের চাকা আরও বেশি করে ঘুরেছে। বাবার কাছে মেয়েরা আশীর্বাদ। আমার কাছে ওদের সবাই আশীর্বাদের মতো।’
বড় দুই মেয়ে আকসা ও আনশা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলাতেও নাকি বেশ ভালো, ‘আকসা এখন ক্লাস টেনে পড়ছে। আনশা পড়ছে ক্লাস নাইনে। খেলাধুলায় তারা বেশ ভালো। লেখাপড়ায় আরও ভালো। লেখাপড়া শেষ করার পর আনশা শহীদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশনে কাজ করতে চায়। আজওয়া আর আসমারা সবচেয়ে ছোট। তারা যেমন খুশি তেমন সাজো খেলে সময় কাটায়।’
এর পরেই নিজের ইচ্ছেটার কথা জানিয়েছেন বোমাটা ফাটিয়েছেন আফ্রিদি, ‘আমি চাইব না তারা আমার মতো ক্রিকেট খেলাকে তারা পেশা হিসেবে নেক। শুধু ক্রিকেট নয়, যেসব খেলা ঘরের বাইরে গিয়ে খেলতে হয় (আউটডোর গেমস), আমি চাই না আমার মেয়েরা সেসব খেলা খেলুক। হ্যাঁ, ঘরের ভেতরে (ইনডোর গেমস) যেকোনো খেলায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে তারা গড়তে পারে। কিন্তু ঘরের বাইরের কোনো খেলায় আমার মত নেই। ওদের মায়ের সঙ্গেও আমি এ নিয়ে কথা বলেছি। সেও আমার সঙ্গে একমত। সামাজিক ও ধর্মীয় অনুশাসনের কথা বিবেচনায় রেখেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নারীবাদীরা আমাকে যা খুশি বলতে পারেন, আমার তাতে কিচ্ছু যায় আসে না। তবে আমি আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি।’
কয়েকদিন আগে প্রকাশিত হয়েছে শহীদ আফ্রিদির আত্মজীবনী। এরপর থেকে সংবাদমাধ্যমে প্রতিদিনই বিভিন্ন শিরোনামে যাচ্ছে বইয়ের চুম্বক অংশগুলো। বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য তিনি তাঁর বইয়ে লিখেছেন। নিজের আসল বয়স লিখেছেন, ওয়াকার ইউনিসকে বলেছেন ভয়াবহ কোচ। বইয়ের মন্তব্য নিয়ে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে ইতিমধ্যেই মেতেছেন তর্কে। সবশেষ তাঁর বই থেকে জানা গেছে, তিনি তাঁর চার মেয়েকে ক্রিকেটার বানানোর ব্যাপারে একেবারেই আগ্রহী নন।