স্ত্রীর মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে বান্দরবানে সাইফুল ইসলাম (২০) নামে এক স্বামী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরের মাদ্রাসা ঘোনা এলাকায়। পুলিশ সকালে তার লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান সোহেল দিন দিন মজুর ছিলেন। গত দেড়-দুই বছর আগে প্রেম নিবেদনে তার বিয়ে হয় ওই ইউনিয়নের রসুলপূর গ্রাম এলাকার আব্দু সাত্তার ওরফে সাত্তার বুড়ার কন্যা হামিদা বেগম (২৫)। স্বামী স্ত্রী দুই জনেই ভোটার হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে সাংসারিক কলহ চলে আসছিলো তাদের মধ্যে। স্ত্রী হামিদা বেগম প্রতিনিয়ত স্বামীকে মানসিক নির্যাতন করে আসছিলো।
এলাকাবাসীর মতে, স্ত্রীর মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিয়েছেন সাইফুল। তবে ভাড়া বাসায় আত্মহত্যার পর বাসার পাশের রাস্তায় লাশ হয়ে পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি সদস্য আরেফ উল্লাহ ছুট্ট আত্মহত্যার কথা নিশ্চিত করে জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রী মধ্যে সাংসারিক কলহ চলছিল। তার স্ত্রী হামিদা বেগম প্রায়ই তাকে গালমন্দ করে মানসিক নির্যাতন করত। এতে সে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছে বলে আমারা অনুমান করছি।
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জায়েদ নুর জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর জানা যাবে।