দুনিয়ার সবচেয়ে ‘হট’ প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরিচিত কলিন্ডা। ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, রবিবার ক্রোয়েশিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রথম নারী তথা দেশের চতুর্থ প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন কলিন্ডা গ্রাবার-কিতারোভিচ। সময় নষ্ট না করে পরের দিন থেকেই নিজের কার্যভার সামলাতে শুরু করে দেন জনপ্রিয় এই নেত্রী।
আকর্ষণীয় রূপের সুবাদে গোড়া থেকেই আলোকচিত্রীদের লেন্স সব সময় তাঁকে খুঁজে বেড়ায়। বিকিনি শোভিতা কলিন্ডার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুফান তোলে। অনেকের মতে, বিশ্বে এমন রূপসী এবং যৌন আবেদনময়ী রাষ্ট্রনেতা এ যাবত দেখা যায়নি। তবে সৈকতে অবসর যাপনের সময় প্রেসিডেন্টের লাস্যময়ী রূপ ঠিক কবে ক্যামেরাবন্দি হয়েছিল, সেই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত সঠিক তথ্য মেলেনি।
১৯৯৬ সালে জ্যাকভ কিতারোভিচের সঙ্গে বিয়ে হয় কলিন্ডা গ্রাবারের। তাঁদের দুই সন্তান, মেয়ে ক্যাটারিনা (১৭) এবং ছেলে ল্যুকা (১৫)। কলিন্ডা ক্রোয়েশিয়ান ছাড়াও ইংরেজি, স্প্যানিশ ও পর্তুগীজ ভাষায় দুরস্ত। এছাড়া জার্মান, ফ্রেঞ্চ ও ইতালিয়ান ভাষা তিনি বুঝতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যৌন আবেদনপূর্ণ রূপসী প্রেসিডেন্টের ছবি প্রকাশিত হতেই অভিনন্দন ও প্রশংসার ঝড় বয়ে যায়। কারও কারও অভিমত, দেশের সর্বোচ্চ পদে বসার আগেই এই ছবিগুলি তোলা হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট নিজে অবশ্য এই ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
কলিন্ডাকে নিয়ে বেশ কিছু মজার ঘপটনা প্রচলিত আছে। তার মধ্যে একটি হলো ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগ্রেব-এ এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে মানবাধিকার সংগঠনের এক নেতা পোশাকের নিয়ন্ত্রণ হারান। মঞ্চের ওপর ফোটো সেশন চলাকালীন প্রেসিডেন্টের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ক্রোয়েশিয়ান হেলসিঙ্কি মানবাধিকার কমিটির নেতা আইভ্যান জোনিমির সিক্যাক-এর প্যান্ট খুলে যায় এবং তিনি যথেষ্ট বিড়ম্বনায় পড়েন। নিন্দুকদের ভাষ্য, সুন্দরী কলিন্ডার উপস্থিতিই এই পোশাক বিভ্রাটের কারণ। বলা বাহুল্য, ঘটনার কারণে প্রেসিডেন্টের মুখে কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।