প্রথমদিন একসঙ্গে কফি, তারপর একটু একটু করে বোঝাপড়া, দীর্ঘদিন একসঙ্গে বসবাস আর সবশেষে ভালোবাসাকে চূড়ান্ত রূপ দিতে যাচ্ছেন এই জুটি।
দীর্ঘদিনের সঙ্গী ক্লার্ক গেফোর্ডের প্রস্তাবে সায় দিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্দা আরডার্ন। সম্প্রতি ইস্টারের ছুটিতে প্রেমিকের দেওয়া বিয়ের প্রস্তাবে সম্মতি দেন জেসিন্দা।
শুক্রবার (৩ মে) নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এমন খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দায়িত্বরত অবস্থায় বিশ্বনেতাদের বিয়ের নজির অবশ্য খুব বেশি নেই। কিন্তু গত বছর দায়িত্বরত অবস্থাতেই জেসিন্দার গর্ভধারণের ঘটনাকে বিশ্বে নারী নেতৃত্বের অগ্রগতির একটি উদাহরণ হিসেবে ধরা হচ্ছিল।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর পর তিনিই প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, যিনি দায়িত্বরত অবস্থাতেই সন্তানের জন্ম দেন। আর ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজির পর প্রথম নেতা হিসেবে দায়িত্বরত অবস্থায় জেসিন্দার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হতে যাচ্ছে।
জেসিন্দার হবু স্বামী গেফোর্ড (৪১) একজন টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। নিউজিল্যান্ডের টেলিভিশন চ্যানেলে তিনি ফিশিং শো উপস্থাপন করেন। প্রেমিকা জেসিন্দা যখন দেশ সামলান, গেফোর্ড তখন বাচ্চাকে নিয়ে চলে যান টেলিভিশন শো’র ক্যামেরার সামনে।
শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে জেসিন্দার আঙুলে এংগেজমেন্ট রিং সাংবাদিকদের নজরে আসে। এরপরই মূলতঃ তার বিয়ের খবরটি চাউড় হয়।
তার মুখপাত্র অ্যান্ড্রু ক্যাম্পবেলা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ইস্টার থেকেই জেসিন্দার হাতে এংগেজমেন্ট রিং শোভা পাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে আর কিছু জানাতে রাজি হননি তিনি।
ছয় বছর আগে এই জুটির পরিচয়। তৎকালীন সরকারের নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে পার্লামেন্টের একজন সদস্যের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়ে গেফোর্ডের সঙ্গে পরিচয় হয় উঠতি রাজনীতিবীদ জেসিন্দার।
প্রথমদিন একসঙ্গে কফি, তারপর একটু একটু করে বোঝাপড়া, দীর্ঘদিন একসঙ্গে বসবাস আর সবশেষে ভালোবাসাকে চূড়ান্ত রূপ দিতে যাচ্ছেন এই জুটি।
উল্লেখ্য, গতবছর মেয়েকে কোলে নিয়েই জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে উপস্থিত হয়েছিলেন জেসিন্দা।