ফণীর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড উড়িষ্যায় ছয়জন নিহত

ভারতের পূর্ব উপকূলীয় রাজ্য উড়িষ্যায় ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত হেনেছে। ফণীর আঘাতে ওই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় গাছ উপড়ে গেছে এবং ঘরবাড়ি, দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘূণিঝড়ের তাণ্ডবে উড়িষ্যায় এ পর্যন্ত ছয়জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সংখ্যা আরো অনেক বাড়ার আশঙ্কা করছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায় আজ শুক্রবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে ১৯৫ কিলোমিটার বেগে রাজ্যের গোপালপুর ও পুরীতে আছড়ে পড়ে। তবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানিয়েছিল, বিকেল ৩টার দিকে উড়িষ্যা উপকূলে আছড়ে পড়বে ফণী। তবে এর আগেই আঘাত হেনেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিনের খবরে বলা হয়েছে, ঝড়ের দাপটে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় গাছ-পালা উপড়ে পড়েছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে গেছে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল। ঝড়ে পুরীর সাক্ষীগোপালে গাছ পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আর রাজ্যের কেন্দ্রপাড়ায় ঝড়ের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধা মারা যান। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ে আরও চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এর আগে প্রায় ১১ লাখ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয় উড়িষ্যা সরকার। উড়িষ্যার রেল বিভাগ জানায়, শনিবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন রুটে মোট ১৪৭টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করে দেয়া হয়েছে।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বিশাখাপত্তনম ও চেন্নাইয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৩৪টি দল, ত্রাণ সামগ্রীসহ চারটি উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশাখাপত্তনম, চেন্নাই, পারাদ্বীপ, গোপালপুর এবং পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া, ফ্রেজারগঞ্জ এবং কলকাতায় বিপর্যয় মোকাবিলা দল মোতায়েন রয়েছে।

ভারতের জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টারের মতে, গত ২০ বছরে ওই অঞ্চলের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সামুদ্রিক ঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘ফণী’। ১৯৯৯ সালে এই মাত্রায় পৌঁছানো সুপার সাইক্লোনে প্রায় ১০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল বিপুল পরিমাণ।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top