১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে হামলার ঘটনায় আহত আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক হাসপাতালে আহত তুর্কি এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এর ফলে ওই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫১তে দাঁড়িয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ১৫ মার্চের ওই হামলার পর থেকেই ৪৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির অবস্থা ছিল বেশ খারাপ। পরিবারের অনুরোধের প্রেক্ষিতে পুলিশ ওই ব্যাক্তির নাম প্রকাশ করেনি বলে সিএনএন এক রিপোর্টে জানিয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন স্থানীয় সময় শুক্রবার দেয়া এক বিবৃতিতে ওই ব্যক্তির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ক্রাইস্টচার্চ ঘটনায় মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির পরিবার ও সম্প্রদায়ের প্রতি আমি আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ করছি।
ওই হামলায় যারা আইসিইউতে ছিল, তুর্কি ওই ব্যক্তি ছিলেন তাদের সর্বশেষ ব্যক্তি। গুলিবিদ্ধ আরো নয় ব্যক্তি এখন সুস্থ আছেন।
তবে ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মওলুদ কাভুসোগলু টুইটারে বলেন, অপ্রত্যাশিতভাবে আমরা আমাদের একজন নাগরিক জাকারিয়া তুয়ানকে হারিয়েছিল। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ হামলায় সে গুরুতরভাবে আহত হয়েছিল।
গত ১৫ মার্চ ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারেন্ট নিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদে হামলা চালায়। তার এ হামলায় হতভম্ব হয়ে পড়েছিল পুরো বিশ্ব। তবে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরর্ডান সে সময় সক্রিয়ভাবে এসে মুসলমানদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।