ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে উপকূলে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আজ বৃহস্পতিবার থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ সব রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জনসংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র ধেয়ে আসায় নিরাপত্তার জন্য বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ সব রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সব নৌযানকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।’
ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতের আশঙ্কায় বিআইডব্লিউটিএ আজ সকাল ১০টার দিকে বিআইডব্লিউটিএর সভাকক্ষে এক জরুরি সভায় বসে। বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানের কমডোর এম মাহাবুবুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনালসহ সারা দেশের ৪১টি নৌপথের যাত্রীবাহী নৌযান বন্ধ থাকবে। আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা নদীবন্দর থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ৪১টি নৌপথের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
এদিকে, আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘন্টায় ৯০ থেকে ১১০ কি. মি. বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্ত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।