দ্বিতীয়ার্ধে লিওনেল মেসির দুই গোলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে লিভারপুলকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালের পথ সুগম করেছে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। দর্শনীয় ফ্রি কিক থেকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটি ছিল বার্সার জার্সি গায়ে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের ক্যারিয়ারের ৬০০তম গোল।
আর রিয়াল মাদ্রিদের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৫০০ গোল করলো বার্সা (৫০২)।
ন্যু ক্যাম্পে লুইস সুয়ারেজের গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করলেও বার্সেলোনাকে বেশ চাপের মধ্যেই রাখে লিভারপুল – কিন্তু ম্যাচের শেষদিকে ৫ বারের ব্যালন ডি অর বিজয়ীর জোড়া গোলে বড় হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
ম্যাচের শুরুতে স্বাগতিকদের কিছুটা চাপের মধ্যে রাখলেও প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে জোর্ডি আলবার পাস থেকে গোল করে বার্সাকে এগিয়ে নেন সাবেক লিভারপুল ফরোয়ার্ড সুয়ারেজ।
দ্বিতীয়ার্ধে লুইস সুয়ারেজের শট বারে লেগে ফিরে আসলে তা থেকে সহজেই নিজের প্রথম গোলটি করেন মেসি।
তবে বার্সার হয়ে আর্জেন্টাইন জাদুকরের ৬০০ তম গোলটি ছিল দৃষ্টিনন্দন।
২৫ গজ দূর থেকে বাঁকানো ফ্রি কিকে লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক অ্যালিসনকে পরাস্ত করে ঘরের মাঠে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন বার্সা অধিনায়ক।
৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকার পরও লিভারপুল অবশ্য সুযোগ পেয়েছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাওয়ে গোল করার। কিন্তু রবার্তো ফিরমিনোর শট গোল লাইন থেকে ক্লিয়ার করার পর সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন মোহাম্মদ সালাহ – ফিরতি শটে তিনি বল লাগান বারপোস্টে।
পরিসংখ্যানে বার্সেলোনা – লিভারপুল
মেসি বার্সা ক্যারিয়ারে তার ৬০০ তম গোলটি করেছেন। ১৪ বছর আগে ২০০৫ এর মে মাসের এই দিনেই অ্যালবাসেটের বিরুদ্ধে বার্সেলোনার জার্সি গায়ে প্রথম গোলটি করেছিলেন তিনি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঘরের মাঠে অপরাজিত থাকার রেকর্ড ৩২ ম্যাচে উন্নিত করলো বার্সা।
ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় পাঁচবারের চেষ্টায় এই প্রথম লিভারপুলের বিপক্ষে জয় পেলো বার্সা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারলো লিভারপুল। এর আগে ২০১৪’র অক্টোবরে রেয়াল মাদ্রিদের কাছেও ৩-০ ব্যবধানে হেরেছিল তারা।
রিয়াল মাদ্রিদের (৫৫১) পর দ্বিতীয় দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৫০০ গোল করলো বার্সা (৫০২)।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মেসির চেয়ে বেশি (৩২) দলের চেয়ে গোল করা একমাত্র খেলোয়াড় রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক ফরোয়ার্ড রাউল (৩৩)।
এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত ফ্রি কিক থেকে আটটি গোল করেছেন মেসি – যা ইউরোপের শীর্ষ পাঁচটি লিগের (ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন আর ইতালি) যেকোনো খেলোয়াড়ের ফ্রি কিক থেকে করা গোলের সংখ্যার দ্বিগুণ।
সূত্র : বিবিসি