দ্বিতীয় মেয়াদে নরেন্দ্র মোদি হবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী আর পশ্চিমবঙ্গের ৪২ আসন থেকে বিজেপি পাবে ২৩ আসন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এই ভবিষ্যৎ বাণী করেছেন।
বুধবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কল্যাণীতে বিজেপি আয়োজিত এক নির্বাচনী জনসভায় এ কথা বলেন শাহ। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এ পশ্চিমবঙ্গেও এবার ৪২টি আসনের মধ্যে বিজেপি ২৩টি আসন পাবে। ২৩ মে ভোটের ফলাফল ঘোষণার দিন এই পশ্চিম বাংলায় পরিবর্তনের সূর্য উঠবে।
অমিত শাহ বুধবার বলেন, ‘এই পশ্চিমবাংলায়ও চালু করা হবে এনআরসি বা জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন। এই পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাড়ানো হবে অনুপ্রবেশকারীদের। তবে উদ্বাস্তু ও শরণার্থীদের দেয়া হবে নাগরিকত্ব। তাদের দেশ থেকে তাড়ানো হবে না। পাস করানো হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল।’ তিনি এই অভিযোগও করেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের মদদ দিচ্ছেন মমতা দিদি।’
কল্যাণী আসনটিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রচুর মানুষের বাস। তাই এদিন মতুয়া সম্প্রদায়ের গুরুমা বড়মা বীণাপাণি দেবীকে প্রণাম জানিয়ে ভাষণ শুরু করেন বিজেপি সভাপতি।
অমিত শাহ বলেন, এই পশ্চিমবঙ্গে দিদির রাজত্বে কোনো শিল্পকারখানা গড়ে ওঠেনি। গড়ে উঠেছে কেবল বোমাশিল্প। এই দিদিই গত বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস ছড়িয়ে বহু মানুষকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেতে দেননি। এ রাজ্যের সংস্কৃতি এবং গণতন্ত্র হরণ করেছেন দিদি। তাই এবার আর দিদিকে চায় না এখানকার মানুষ। দেশবাসী ফের চাইছে মোদিকে প্রধানমন্ত্রীরূপে। তাই নরেন্দ্র মোদিই হবেন দু হাজার উনিশে ফের প্রধানমন্ত্রী। বলেন, বিজেপি চায় সন্ত্রাসমুক্ত, সিন্ডিকেটমুক্ত বাংলা গড়তে। শান্তির পশ্চিমবঙ্গ বানাতে।
অমিত শাহ বলেন, পশ্চিমবঙ্গের চিটফান্ড-কাণ্ডে জড়িত কাউকেই ছাড়া হবে না। তাদের আইনানুগ শাস্তি পেতেই হবে। কারণ, তারা গরিবের গচ্ছিত টাকা লুট করেছে। এই লুটেরাদের ছাড়বে না বিজেপি। চিটফান্ডের অর্থ লুটকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় তুলবে।
অমিত শাহ বলেন, বাম দলেরাও দিদির বিরুদ্ধে লড়াই করে না। বিজেপি এই লড়াই করে আসছে একা, বিজেপি লড়াই করবেও। বলেন, গরিবদের জীবন পাল্টে দিয়েছে বিজেপি। দেশবাসী তাই এবারও মোদিকে চাইছে। তাই উনিশের প্রধানমন্ত্রী হবেন নরেন্দ্র মোদিই।
কল্যাণীর সভা শেষ করে অমিত শাহ যোগ দেন হাওড়ার পাঁচলায় বিজেপি আয়োজিত এক নির্বাচনী প্রচার সভায়। সেখানেও তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টা মেহনত করেন মোদি। ২০ বছরে এক দিনও ছুটি নেননি। এই মোদিজিকে এবারও দেশবাসী প্রধানমন্ত্রী করবেন।