ঢাকাWednesday , 1 May 2019
  1. Correspondent
  2. English News
  3. আজকের ময়মনসিংহ
  4. আদালত
  5. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  6. ইসলাম ও জীবন
  7. এক্সক্লুসিভ ময়মনসিংহ
  8. করোনা আপডেট
  9. করোনায় সহযোগীতা
  10. খেলার সংবাদ
  11. চাকুরী
  12. ছবি গ্যালারী
  13. জাতীয় অহংকার
  14. জাতীয় নির্বাচন ২০১৮
  15. জাতীয় সংবাদ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিএনপি নেতার হুমকিতে ইউএনওর থানায় জিডি

Link Copied!

বান্দরবান জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজি মহিতুল হোসেন যত্নের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করলেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নোমান হোসেন। উপর্যুপরি হুমকিতে বিব্রত ও নিরাপত্তাহীনতার কথা জিডিতে উল্লেখ করেছেন ইউএনও।

বান্দরবান সদর থানায় এই জিডি করেন ইউএনও। বান্দরবান সদর থানার কর্মকর্তা এস আই দুর্জয় জানান, জনৈক ওবায়দুল হক ও আলী আহম্মদ কাজি মহিতুল হোসেন যত্নের বিরুদ্ধে তাদের দখলিয় জায়গায় পাহাড় কেটে জমির রূপ পরিবর্তন করায় জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিলে জেলা প্রশাসক ইউএনওকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। তদন্তের পর গত ২৩ এপ্রিল কাজি মহিতুল হোসেন যত্নের বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার অপরাধে অইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর চট্রগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠায়। থানায় দেয়া জিডিতে ইউএনও জানান, ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার কাজি মুহিতুল হোসেন যত্ন তার কার্যালয়ে এসে খোঁজ খবর নেন ও মোবাইল ফোনে একাধিকবার হুমকি প্রদাণ করেন। পাহাড় কাটার ঘটনায় পরিবেশ আদালতে পাঠানো প্রতিবেদন ধামাচাপা দেয়ার জন্য কাজি যত্ন নানাভাবে হুমকি ধমকি দেয় ইউএনওর মোবাইল ফোনে।

জিডিতে এমনটিই উল্লেখ করে ইউএনও বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। সদর থানার কর্মকর্তা এস আই দুর্জয় জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কাজি মুহিতুল হোসেন যত্নের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করা ওবায়দুল হক জানান, শহরের কাছে বালাঘাটা এলাকায় বিগ্রেডের সামনে ২০১৫ সালে ১৫৯ দাগে জনৈক আলী আহম্মদের কাছ থেকে ২ কানি জায়গা কিনেন তিনি। পরবর্তীতে কাজি যত্ন ১৬৪ নং দাগ দেখিয়ে ঐ জায়গার ২২ শতাংশ দাবি করে সেখানে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরি করেন।
বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়। পাহাড় কাটার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে জরিমানাও করে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ঐ জায়গার বিরোধ মিমাংসায় ইউএনও সেখানে গেলে পাহাড় কাটার প্রমাণ পায়। পরে পরিবেশ অধিদপ্তরে প্রতিবেদন পাঠালে ইউএনওর বিরুদ্ধে ক্ষেপে যান কাজি যত্ন।

তবে কাজি মহিতুল হোসেন যত্ন ইউএনওকে হুমকি দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, পাহাড় কাটার সাথে আমি কোন ভাবে সম্পৃক্ত নই এবং আমাকে জরিমানাও করা হয়নি। তাছাড়া যে জায়গা নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে সেটি আমার। শুধুমাত্র বিষয়টি জানান জন্য ইউএনওকে ফোন দিয়েছিলাম। এটিতো হুমকি হতে পারে না। এ বিষয়ে সদর উপজেলার ইউএনও মো. নোমান হোসেনের সাথে বেশ কয়েকবার ফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।