বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার দুর্নীতিকে বৈধ করার জন্য দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করেছেন।
তিনি বলেন, সরকার ব্যাংক লুট করছে, শেয়ার মার্কেট লুট করছে। অন্যদিকে মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা লুট করছে। আর তার খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ শ্রমজীবীদের।
বুধবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিক দলের র্যালি উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, আজকে সাধারণ শ্রমজীবীদের কাছ থেকে ট্যাক্স হিসেবে টাকা কেটে নেয়া হয়। সেই টাকা দিয়ে তারা দুর্নীতির পদ্মাসেতু নির্মাণ করে, কর্ণফুলী টানেল তৈরী করে। এসব সম্পূর্ণভাবে অপ্রয়োজনীয়।
এসময় শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে ফখরুল বলেন, আপনারা মে দিবস পালন করছেন, আপনাদেরকে সেই অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। আজকে গার্মেন্টস পোশাক শিল্প সবচেয়ে বেশি আয় করে। তাদের আয়ে বাংলাদেশ চলে। বিদেশে যেই শ্রমিক ভাইয়েরা কাজ করেন, তাদের রেমিটেন্সে বাংলাদেশ চলে। তাদের টাকাগুলোকে নষ্ট করে সরকার দুর্নীতি করছে।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশে সমস্ত শ্রমজীবী মানুষ তাদের অধিকার হারিয়েছেন। এই দুর্নীতিবাজ সরকার সমস্ত মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে দুর্নীতির পাহাড় গড়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মে দিবস অধিকার আদায়ের দিন। এই দিবসকে স্মরণ করে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার একদিকে আমাদের ভোটের অধিকার লুট করেছে। অপরদিকে আমাদের ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আজকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং বেঁচে থাকার জন্য শ্রমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের অধিকারকে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন সংগ্রামে যেতে হবে।
আমরা অনেকেই জানি না আজকে এই মহান মে দিবস কি? ১৮৮৬ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরে শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য যে আন্দোলন করেছিল সেখানে ছয়জন শ্রমিকের প্রাণ গিয়েছিল। সেই থেকে ওই শ্রমিকের বুকের রক্তের রঙ হয়ে গেছে শ্রমিকদের পতাকা লাল রঙ।
ফখরুল বলেন, এই দিবসটি আজ বিশ্বজুড়ে সবখানে সকল শ্রমিক অত্যন্ত মর্যাদার সাথে দিনটি পালন করেন। এই দিনটি সকল শ্রমজীবী এবং যারা কাজ করেন তাদের জন্য মহত একটা দিন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে আমাদের বাংলাদেশ এই শ্রমিক ভাইদের মর্যাদা নেই। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নেই। জীবন যাপন করেন একেবারে মানবেতর অবস্থায়। প্রতিনিয়ত দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, বাসা ভাড়া বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।