যে কোনো মুসলিমের কাছে ইনশাআল্লাহ-মাশাআল্লাহ-আলহামদুলিল্লাহ ইত্যাদি উদ্দীপ্ত করার মতো বিশেষ কিছু পরিভাষা। বিশেষ করে দুইজন মুসলমানের কথাবার্তায় এগুলোর ব্যবহার স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু যদি একজন অমুসলিম আরেকজন মুসলমানকে এ শব্দগুলো দিয়ে উদ্দীপ্ত রাখেন তাহলে ঘটনাটা কেমন হয়?
এমনই ঘটনা এতদিন ঘটেছে আইপিএলের সানরাইজার্স দলের খেলায়। আফগান বোলিং অলরাউন্ডার রশিদ খানকে মাঠে প্রায় সময়ই উদ্দীপ্ত রাখার চেষ্টা করতেন ডেভিড ওয়ার্নার। রশিদ খানই এক টুইটে এ কথা ফাঁস করেছেন।
খুব উপভোগ করতে থাকা আইপিএল ছেড়ে দেশের হয়ে যোগ দিতে ভারত ছেড়ে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা ক্রিকেটার ওয়ার্নার। একটা বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত থাকলেও ব্যাট ছিল তার আগের মতোই ক্ষুরধার। দ্বাদশ আইপিএলের প্রথম ম্যাচ থেকেই রান আসছিল তার ব্যাটে। ১২ ম্যাচ খেলে ৮টি অর্ধশতরান ও ১টি শতরান সহযোগে ঝুলিতে পুরেছেন ৬৯২ রান। কিন্তু বিশ্বকাপ একেবারে কাছে এসে পড়ায় আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলো আর খেলতে পারছেন না ওয়ার্নার।
অন্যদিকে ওয়ার্নারকে নিশ্চিত মিস করবে হায়দরাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজিও। ভারত ছাড়ার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক আবেগঘন বার্তায় অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এ সহ-অধিনায়ক লিখেন, ‘পাশে থাকার জন্য সানরাইজার্স পরিবারকে আমার কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই। কেবল এই মরশুমের জন্য নয়, গত মরশুমের জন্যও। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ফিরতে পেরে আমি ভীষণ খুশি।’
ওয়ার্নারের এ টুইটের জবাবে রশিদ লিখেন, ‘তোমার যাত্রা নিরাপদ হোক। আমরা প্রত্যেকেই তোমায় খুব মিস করছি। বিশেষ করে মাঠে আমায় মাশাআল্লাহ এবং ইনশাআল্লাহ বলে আমায় উদ্বুদ্ধ করার বিষয়টি ভীষণ মিস করব। খুব শীঘ্র বিশ্বকাপে দেখা হবে।’
ওয়ার্নারের প্রশংসা করেছেন হায়দরাবাদের কোচ টম মুডিও। তিনি লিখেন, ‘ওয়ার্নারের আরেকটি দারুণ আইপিএল মরশুম কাটল। দক্ষতাকে ছাপিয়েও এ মৌসুমে তার চরিত্র, দৃঢ়তা বেশি করে প্রকাশ পেয়েছে।’