বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিভিন্ন মিডিয়াগুলো প্রচার করেছে আমি নাকি শপথ নেয়ার সময় বাড়ানোর জন্য চিঠি দিয়েছি। আমি এরকম কোন চিঠি দেইনি। এটা আমাদের দলীয় কৌশল।
আজ ৩০ এপ্রিল (মঙ্গলবার) জাতীয় প্রেসক্লাবে আওয়াজ কর্তৃক আয়োজিত উন্নয়নের ‘মৃত্যুকূপে জনজীবন/ ‘নুসরাত’ একটি প্রতিবাদ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়াজ এর সভাপতি ও বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিনা রহমান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, আওয়াজ এর সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শাহিদা রফিক, সৈয়দ ফাতেমা সালাম, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ, অধ্যক্ষ রফিকা আফরোজ প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, ভোট ডাকাতির একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর জনগণের ক্ষোভের ধারাবাহিকতায় আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত ছিলো আমরা সংসদে শপথ নিবো না। আমাদের মনে রাখতে হবে রাজনীতিতে কোন সিদ্ধান্তই স্থায়ী নয়। সংসদে কথা বলার ক্ষুদ্রতম সুযোগটা কাজে লাগানোর জন্য আমাদের দল থেকে নির্বাচিতরা শপথ নিয়েছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রের প্রতিটা যায়গা থেকে যখন আমাদের কথা বলার সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে তখন আমরা এই ন্যূনতম সুযোগ নিয়েছি। সময় বলে দিবে সিদ্ধান্ত সঠিক ছিলো কিনা। আমার বিশ্বাস আমরা সময়ের বিবেচনায় বাস্তবতাকে উপলব্ধি করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বিএনপি সরকারের সাথে আপোষ করছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, বেগম জিয়া আপোষ করার নেত্রী নন। আমরা সেই দল যারা অন্যায়ের সাথে আপোষ করি না। যদি আপোষ করতাম তবে বেগম জিয়া এখন প্রধানমন্ত্রী থাকতেন আর বিএনপি ক্ষমতায় থাকতো।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ছাড়া কখনো টেকসই উন্নয়ন হতে পারে না। যেখানে জবাবদিহিতা নেই সেখানে উন্নয়ন স্থায়ী হয় না। তিনি বলেন, সংবিধানের পঞ্চদ্শ সংশোধনী আনার পরই আমরা বলেছিলাম, সরকার সুকৌশলে অত্যন্ত সুক্ষ্মভাবে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার পথে হাঁটছে।
তিনি বলেন, আমাদের একটা বিশ্বাস ছিলো নির্বাচন কমিশনসহ সেনাবাহিনী একটা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু তাদের ভূমিকা জনগণকে হতাশ করেছে। প্রতিটি বাহিনী ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং দেশে উন্নয়নের নামে লুটপাট চলছে।
তিনি বলেন, শুনেছি পূর্বাচলে ৫০-৬০ তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সেখানে একটি বাহিনীর জন্য বিশেষ আবাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর ফুটপাতে পলিথিন পেঁচিয়ে মানুষ রাত্রি যাপন করছেন। এই হলো এই সরকারের উন্নয়নের চিত্র।