কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মাদ্রাসায় পড়ুয়া ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় উপজেলার সুখিয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে গতকাল সোমবার সকালে ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে বিষয়টির ব্যাপারে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি অভিযোগপত্রটি পাকুন্দিয়া থানার ওসির কাছে পাঠিয়ে দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সুখিয়া গ্রামের স্থানীয় মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীকে মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো একই গ্রামের হাসেন উদ্দিনের ছেলে নাছির উদ্দিন। মেয়েটির পরিবার বিষয়টি নাছির উদ্দিনের পরিবারকে জানিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি। ঘটনার দিন গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাড়ির লোকজন সুখিয়া বাজারের বৈশাখী মেলায় যায়। ওই সময় মেয়েটি বাড়িতে একা ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই মেয়েটি রান্নাঘর থেকে বসতঘরে যাচ্ছিল। এই সুযোগে নাছির মেয়েটির মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী গোয়াল ঘরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। মেয়ের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে নাছির উদ্দিন তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ওই মেয়েটির পিতা জানান, এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে বিচার চাইলেও কোন প্রতিকার পাইনি। স্থানীয়ভাবে বিচার না পেয়ে সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেই। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টির ব্যাপারে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাকুন্দিয়া থানার ওসির কাছে প্রেরণ করেন।
পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান বলেন, শ্লীলতাহানীর চেষ্টার অভিযোগে ওই ছাত্রীর পিতা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এ ব্যাপারে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগপত্রসহ মেয়ের বাবাকে ওসির কাছে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।