বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছেন, আমাদের দল বিশ্বকাপ জয় করার সামর্থ্য রাখে। কিন্তু বড় কোনো ট্রফি জয় করাটা অভ্যাসের ব্যাপার, যেটি করতে আমরা বার বার ব্যর্থ হচ্ছি। সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে একথাগুলো বলেন টাইগার অধিনায়ক।
সংবাদ সম্মেলনে নিজের শেষ বিশ্বকাপ প্রস্তুতি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেন, ‘এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ। তবে শেষ বিশ্বকাপ নিয়ে আলাদা কোনো প্রস্তুতি নেই।’
এর থেকে বোঝা যায়, ২০১৯ বিশ্বকাপের পর আর কোনো বিশ্বকাপ ময়দানে টাইগার কাপ্তানকে দেখতে পাবে না বিশ্ব। শেষ বিশ্বকাপ স্মররণীয় করে রাখতে কে না চায়? টাইগার অধিনায়ক সেটি হয়তো গোপনই রাখলেন।
বিশ্বকাপ তার কাছে নতুন কিছু নয়। অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দিতে যচ্ছেন দ্বিতীয় বিশ্বকাপে। দলের সদস্য হিসেবে খেলেছেন ২০০৩, ২০০৭ ও ২০১৫ বিশ^কাপ। ইনজুরির কারণে মাঝখানে খেলা হয়নি ২০১১ বিশ্বকাপটা।
বিশ্বকাপ খেলে অভিজ্ঞতায়পূর্ণ মাশরাফি। তাই আলাদা কোন প্রস্তুতি কি বা নেবে। টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘আলাদা করে তৈরী হওয়ার কিছু নেই। আলাদা করে নিজেকে তৈরী করাটাও একধরনের চাপ। আমার কাছে মনে হয় না, আলাদা করে কোনো প্রস্তুতি নিয়েও ওখানে কিছু করতে পারব! সেখানে একজন সাধারণ ক্রিকেটার হিসেবেই পারফর্ম করার চেষ্টা করব। সেখানে অধিনায়কত্বটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমার কাছে যে দায়িত্বগুলো আছে, সেগুলো ভালোভাবে পালন করার চেষ্টা করব।’
নিজের শেষ বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখেন কি-না মাশরাফি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন যুক্ত দিয়ে। কাপ্তান বলেন, ‘লক্ষ্যটা কঠিন হলেও অসম্ভব বিষয় নয়।’
বিশ্বকাপের মতো শিরোপা নিজেদের হাতের মুঠোয় নিয়ে আসার পথে বাংলাদেশ দল ঠিক কোন কোন জায়াগায় পিছিয়ে এমন প্রশ্নে মাশরাফি বলেন, ‘দেখুন এই দল বিশ্বকাপ জয়ের সামর্থ্য রাখে। কিন্তু বড় কোনো ট্রফি জয় করাটা অভ্যাসের ব্যাপার। এশিয়া কাপের শিরোপাটা জিতলে এই জায়গায় অনেকটা পথ এগিয়ে যেতাম। কিন্তু কেন যেন আমরা বার বার এই একটি জায়গায় আটকে আছি।’
এবারের বিশ্বকাপে লিগ পদ্ধতিতে প্রথম রাউন্ডে ৯টি ম্যাচ খেলতে হবে সব দলকে। এটিকে ভালো দিক হিসেবে মনে করছেন মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘এই ফরম্যাট হওয়ার কারণে দলের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকবে। তবে দলের খেলোয়াড়দের কাছে সেরা খেলাটাই চাই।’