পাচারকৃত ও লুকানো অর্থ বিনিয়োগে অর্থনীতি চাঙ্গা হবে

বিদেশে পাচার করা ও দেশে লুকানো অর্থ মুদ্রাবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হলে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতি। আসন্ন বাজেটকে বিনেয়োগ বান্ধব করার দাবি জানিয়ে সংগঠনটি বলেছে এতে অর্থনৈতিক কর্মকা- আরো গতিশীল হবে এবং প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মো. খসরুজ্জামান এসব কথা বলেন। এ সময় সংগঠনের সহ-সভাপতি কে এম জাবির ও শামসুল জালাল চৌধুরী, সাবিনা ইয়াসমিন (লিপি) ও সারওয়ার আকতার মাসুদ (টিটু) উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে শাহ মো. খসরুজ্জামান বলেন, আগামী বাজেটের রূপরেখা চূড়ান্ত করার আগে সারাদেশের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে কয়েকটি সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর সুবিবেচনার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অনেকের কাছে দেশে এবং বিদেশে বিপুল পরিমাণে টাকা আছে যা করের আওতায় আসেনি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এটাকে অঘোষিত অর্থ বলে থাকে। এটাকে কালো টাকাও বলা হয়। অনেকে গোপনীয় টাকা বিভিন্ন উপয়ে জমিতে বিনিয়োগ করে লুকিয়ে রাখে। খরিদা জমি কখনো করদাতা তার সম্পদ বিবারণীতে প্রদর্শন করে না। এসব জামির মালিকদের ক্রয়কৃত দলিল মূল্যের উপর ৫ শতাংশ হারে কর প্রদান করার সুযোগ দিয়ে জমিতে বিনিয়োগকৃত অর্থ গ্রহণ করলে উক্ত জমি করদাতার বিবরণীতে প্রকাশিত হবে এবং করের আওতায় আসবে। এই সুযোগ আগামী অর্থ বছরে দেয়া যেতে পারে। ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ জমিতে ব্যাংক ঋণগ্রহণ, আবাসিক বা বাণিজ্যিক ভবন কিংবা শিল্প কলকারখানা নির্মাণের সুযোগ পাবেন। এতে বেসরকারি খাতে শিল্পায়ন বা বাণিজ্যেও বিপুল সাড়া পড়বে।

তিনি আরো বলেন, দেশে নতুন শিল্প স্থাপন কিংবা পুরাতন শিল্পকে বিএমআরই এর মাধ্যমে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। দেশে পুজি বাজারে স্থিতিশীলতা আনার লক্ষে বিনিয়োগকে স্বল্প মেয়াদে হলেও উৎসাহিত করতে হবে। পুঁজি বাজারে বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি হলে শেয়ার বাজাওে নিম্নগতি থাকবে না।

তিনি গৃহ নির্মাণ খাতে কর কমানোর পরামর্শ দিয়ে বলেন, আয়কর অডির্ন্যান্স ১৯৮৪ এর ১৯(ই) ধারা সংশোধন করে ১০শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ করলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। কর কমালে নাগরিকদের মধ্যে স্বেচ্ছায় কর দেয়ার প্রবণতা বাড়বে। এছাড়া আইনজীবীদের দেয়া কোর্ট ফি থেকে ১ ভাগ অর্থ সরকারি কোষাগার থেকে প্রত্যেক আইনজীবী সমিতির বেনাভোলেন্ট তহবিলে সরাসরি জমা করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top