গভীর সমুদ্রে নেটওয়ার্ক বাড়াল গ্রামীণফোন

বঙ্গোপসাগরে জেলে এবং যাত্রীদের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে গভীর সমুদ্রে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কাজ সম্পন্ন করেছে গ্রামীণফোন।
গভীর সমুদ্রে এ নেটওয়ার্ক কাভারেস শুধু যেকোনো জরুরি অবস্থায় যোগাযোগ সহজ করার পাশাপাশি, আত্মীয়-পরিজনের সাথে দৈনন্দিন যোগাযোগেও দারুণভাবে সহায়ক হবে।
কক্সবাজার, কুয়াকাটা, ভোলারচর কুকরিমুকরি ও পটুয়াখালীর চর মন্তাজকে কেন্দ্র করে স্থাপতি গ্রামীণফোনের এ নেটওয়ার্ক বিস্তৃতির সুবিধা পাওয়া যাবে গভীর সমুদ্রে ৩৮ কিলোমিটার পরিধি অবধি। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ইতোমধ্যে সমুদ্রের ২০ কিলোমিটার দূরবর্তী অঞ্চরে ৫০০-রও বেশি নৌযান গ্রামীণফোনের মোবইলসেবা গ্রহণ করেছে।
নেটওয়ার্ক কাভাররেজের এ উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ নিয়ে গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ও সিএমও ইয়াসির আজমান বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব আয়ে উপকূলীয় অঞ্চল ও বঙ্গোপসাগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। আমাদের খাদ্যের চাহিদা পূরণেও জলজীবী মানুষদের উল্লেখযাগ্য ভূমিকা রয়েছে। তাই, তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের বিশ্বাস গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
প্রতি বছরই উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ অসংখ্য প্রাণহানির কারণ হওয়া ছাড়াও বিপুল পরিমাণে আর্থিক ক্ষতি সাধন করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে বছরে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াও, জলদস্যুদের কারণেও মৎস্যসম্পদ আহরণ ও সামুদ্রিক পরিবহন খাত বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়। গ্রামীণফোনের এ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন কার্যক্রমের ফলে এখন থেকে প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগে যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও পরিবারের সাথে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত জেলেদের যোগাযোগ প্রক্রিয়া সহজ হবে।
বর্তমান ব্যবস্থায় গভীর সমুদ্র থেকে উপকূলে যোগাযোগ রক্ষায় নাবিক ও জেলেরা ‘হাই-ফ্রিকুয়েন্সি রেডিও’ ব্যবহার করে থাকেন। বিজ্ঞপ্তি।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top