স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহের গৌরিপুরের রামগোপালপুরে এক ব্যবসায়ীর পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে গ্রেফতার করায় সাধারণ জনগণের আক্রমণের শিকার হয়েছে পুলিশ। পুলিশ সদস্যরা মাদক তল্লাশীর নামে ব্যবসায়ীর দোকানে ইয়াবা রেখে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র চালিয়েছে যা দোকানের সিসি ফুটেজে ধরা পড়েছে।
জানা যায়, ময়মনসিংহের গৌরিপুরের রামগোপালপুর বাজারের বর্ষা টেলিকমের মালিক খোকন মিয়ার(২৫) পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে ফাঁসানোর পর পুলিশ সদস্যদের আটক করে এলাকাবাসী।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের বলুহা গ্রামের আবদুল কদ্দুসের ছেলে টেলিকম ব্যবসায়ী খোকন মিয়ার (২৫) দোকানে গৌরীপুর থানার এসআই আবদুল আউয়ালের নেতৃত্বে এএসআই রুহুল আমিন, আনোয়ার হোসেন ও কামরুল এবং কনস্টেবল আল আমিন রামগোপালপুর বাজারে খোকনের দোকানে তল্লাশী চালায়। এক পর্যায়ে সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা খোকনের দোকানে তল্লাশি শুরু করলে স্থানীয়রা এগিয়ে যান। এরপর খোকনের কাছে একটি পুটলি পাওয়া যায় বলে পুলিশ জানালে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানান খোকন ও উপস্থিত লোকজন। এ সময় খোকনকে পুলিশ সদস্যরা থাপ্পর দিলে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ও পুলিশ সদস্যদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন।ও সিসি ফুটেজে এলাকার লোকজন পুলিশের ষড়যন্ত্র দেখতে পান।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা জিন্নাত আলী জানান , রোববার দিবাগত রাত ১১টার দিকে খোকন মিয়ার দোকানে ৪/৫ জনের পুলিশের একটি টিম খোকনের দোকানে প্রবেশ করে। দোকান তন্নতন্ন করে খোঁজার পর ইয়াবা গুজে দিয়ে পুলিশ সদস্যরা খোকন মিয়াকে হ্যান্ডকাপ পড়ায়। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী নিশ্চিত হন যে, খোকনকে ফাঁসিয়েছে থানা পুলিশ।
স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুল কাদির সাধারণ জনগণের উধৃতি দিয়ে বলেন, ঘটনার সময় পুলিশ সদস্যরা জণগণের আক্রমণের শিকার হন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দুই পুলিশ সদস্য পালিয়েও যায়।
বর্ষা টেলিকমের মালিক খোকন মিয়া বলেন, রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে ৫ জন পুলিশ আসে আমার দোকানে মোবাইলে টাকা লোড করতে। পরে একজন আমাকে বলে সাইড দাও আমরা তোমার দোকান তল্লাসি চালাবো। আমি তাদের ভিতরে আসার আনুমতি দেই। এক পর্যায়ে তারা তল্লাশির নামে আমার দোকানের সিসি ক্যামেরার চার্জার খুলে ফেলে। আমি তাদের যখন বললাম ক্যামেরা অন করে তল্লাশি করুন বন্ধ করলেন কেন ? তারা জানায় আমরা কি চোর নাকি? যে সিসি কেম্যারা লাগবে। পরে দোকানের বাহিরে দারিয়ে থাকা এক পুলিশ আমার দোকানের বাহিরে ইলেক্ট্রিক ক্যাবলের কয়েলের ভিতর থেকে কাগজে মুড়ানো ২টি ইয়াবা বের করে ও আমাকে ইয়াবা ব্যাবসায়ী বলে হাতকাড়া পরায়। আমি প্রতিবাদ করতে চাইলে আমাকে থাপ্পর মারে।
এদিকে পুলিশের নির্যাতনে আহত খোকনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে তার চাচা নিশ্চিত করেন।
গৌরিপুর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনাস্থলে আমরা আছি। আমাদের একটি টিম মাদকদ্রব্য উদ্ধারে বের হয়েছিলো। পরে আপনাদের বিস্তারিত জানাতে পারবো।
ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন