চাঁদপুরের হাইচরের নিখোঁজের দুইদিন পর বরিশালের হিজলা এলাকার মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পুলিশ সদস্য মোশারফ হোসেনের লাশ। চাঁদপুরের হাইমচর চরপোড়ালিয়া এলাকায় জেলেদের হামলায় মেঘনায় ডুবে নিখোঁজ হয়েছিলেন ওই পুলিশ সদস্য।
রোববার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে ওই এলাকার মানুষ একটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে জানায়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে এবং চাঁদপুর পুলিশকে জানায়। সংবাদ পেয়ে হাইমচর থানা পুলিশ মোশারফের লাশ আনার জন্য রওয়ানা হয়।
সরকারের নির্দেশমত প্রতিদিনের ন্যায় জাটকা নিধন প্রতিরোধ করতে শুক্রবার রাতে হামইচরের মেঘনায় অভিযানে যায় পুলিশ সদস্যরা। জেলেদের জাটকা নিধন করতে দেখে জেলেদেরকে ধাওয়া দিলে, পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বেধে যায় জেলেদের।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ট্রলার থেকে পড়ে নিখোঁজ হন পুলিশ সদস্য মোশারফ হোসেন। রাত থেকেই ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল কোস্টগার্ড, নদীতে ব্যাপক তল্লাশী চালালেও খোঁজ মিলছিল না পুলিশ সদস্য মোশারফের। অবশেষে নিখোঁজ পুলিশ সদস্য মোশারফের লাশ মিলে বরিশালের হিজলা উপজেলার মেঘনা নদীতে।
এদিকে পুলিশ জানায়, হাইমচরের চরকোড়ালিয়ায় শুক্রবার রাতে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ধরতে পুলিশ অভিযান চালায়। কিন্তু নদীতে পুলিশ দেখে জাটকা ধরতে থাকা জেলেরা হামলা চালায় পুলিশের ওপর। পুলিশ আত্মরক্ষায় পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশ সদস্য কনস্টেবল মোশারফ হোসেন নদীতে পড়ে যায়।
মোশারফের স্ত্রী শামীমা আক্তার জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টায় অভিযানে যোগ দিতে বাসা থেকে বের হন তিনি। তারপর রাত ২টার দিকে বাসায় খবর দেয়া হয়, মোশারফকে পাওয়া যাচ্ছে না।
হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মুহসিন আলম জানান, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও পুলিশ সদস্য মোশারফ নিখোঁজ হয়। তারপর ফায়ার সার্ভিস কোস্টগার্ডসহ নদীতে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে মোশারফকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তারপরও আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছিলাম। অবশেষে আজ তার লাশ পাওয়া গেছে বরিশালের হিজলায়।
ছয় বছর আগে মোশারফ সহকর্মী শামীমা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের মাহির মোশারফ নামে চার বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে।দুই বছর ধরে স্বামী স্ত্রী দুজনেই চাঁদপুরের হামইচর থানায় কর্মরত আছেন। মোশারফের বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার বারবকুন্ড এলাকার মিজিপাড়ায়।