৫ দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। শনিবার ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সরকারি সোহারাওয়ার্দী কলেজ ও মিরপুর বাংলা কলেজ ক্যাম্পাস শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা এ স্মারকলিপি দেন।
এদিকে সরকারি তিতুমীর কলেজে ছাত্রলীগ এক পক্ষের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্মারকলিপি কেড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সময় প্রতিনিধিদের হেনস্থা করারও অভিযোগ করেছে প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা। পরে ছাত্রলীগ নেতা রিপন ও জোয়েল মোড়ল তাদের নিরাপদে কেলজ গেট থেকে বের করে দেয় বলে জানা গেছে।
দুপুরে ঢাকা কলেজে স্মারকলিপি দিয়ে আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বকর সাংবাদিকদের বলেন, আন্দোলনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও গতকাল প্রকাশিত গণিত পরীক্ষার ফলাফলেও নানা অসঙ্গতি দেখা গেছে। পরীক্ষায় অংশ নিলেও অনেক শিক্ষার্থীর ফলাফলে অনুপস্থিত এসেছে। কেউ কেউ এক বিষয়ে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেয়ার পর ফলাফলে তাকে ২/৩ বিষয়ে ফেল দেখানো হচ্ছে। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয়ার পরও এঅবস্থা দেখে আমরা আরো আশাহত হচ্ছি।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র উপাচার্যের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমরা অবরোধ প্রত্যাহার করেছি। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ আমরা কলেজ অধ্যক্ষদের স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি রোববার তারা ঢাবির সিন্ডিকেট সভায় সমস্যাগুলো তুলে ধরবেন এবং কার্যকর সমাধান বের করবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা থেকে সমস্যা সমাধানের কার্যকর সিদ্ধান্ত না এলে ২৯ তারিখ কঠোর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারী দেন শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, সাত কলেজের ২০১৫-১৬ সেশনের পরীক্ষায় গণহারে ফেলের প্রতিবাদে ৫ দফা দাবিতে গত মঙ্গল ও বুধবার রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত ঢাকার সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে বুধবার বিকেলে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে ২৮ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন ঢাবি উপাচার্য। পরে বৃহস্পতিবার ঢাকা কলেজের ক্যাফেটেরিয়ার সামনে সংবাদ সম্মেলন করে শনিবার স্মারকলিপি পেশসহ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধান ও ফলাফল পুণর্মূল্যায়ন করা, সাত কলেজের জন্য স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন দেয়া, সব পরীক্ষার ৯০ দিনের মধ্যে ত্রুটিমুক্ত ফল প্রকাশের ব্যবস্থা করা, সেশন জট দূর করতে ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নেয়া এবং সপ্তাহে ২ দিন করে সব কলেজের সব বিভাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্লাস নেয়া বা মনিটরিং বৃদ্ধি করা।