ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী আমির খান-সৌরভ গাঙ্গুলি!

ভারতের লোকসভা নির্বাচন চলছে। তিন দফা ভোট গ্রহণ হয়েছে। আরো চার দফা বাকি। ফল ঘোষণা হতে পারে ২৩ মে। সবাই তাকিয়ে আছে কে হবে আগামী মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী। ক্ষমতায় থাকা নরেন্দ্র মোদি না কি অন্য কেউ।

বিজেপি যদি ক্ষমতায় যায় তাহলে নরেন্দ্র মোদি তো আছেনই। আর যদি কংগ্রেস যায় তাহলে রাহুল গান্ধি হতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। মাঝে মধ্যে শোনা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নামও। আপাতত হিসাব এভাবেই চলছে। কিন্তু মানুষ কাকে চাইছে। এদের কাউকেই, না কি অন্য কাউকে। সেখানে পরিচালিত এক জরিপ কিন্তু বলছে অন্য কথা। তাদের মতে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসতে পারেন আমির খান বা সৌরভ গাঙ্গুলিসহ আরো অনেকেই, যাদের সাথে হয়তো রাজনীতির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

আই-প্যাক নামের একটি সংস্থা সম্প্রতি ‘ন্যাশনাল পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি’ নামে এক বিশেষ সমীক্ষা চালিয়েছিল। তাতেই দেখা গেছে এমন অবস্থা। রাজনীতি করেন না এমন অনেকের দিকেই তাকিয়ে আছেন ভারতের জনগণ। যাদের সঙ্গে রাজনীতির বহু দূর পর্যন্ত কোনো সম্পর্ক নেই, যারা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দেন না, তবু যাদেরকে একবার দেখার জন্য উপচে পড়ে সাধারণ মানুষ, তারাই যদি নেতা হন, মন্দ কি!

আই-প্যাকের ওই সমীক্ষায় এখন পর্যন্ত ৫৮ লাখের বেশি মানুষ অংশ নিয়েছেন। কাকে তারা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান, তাতে ভোট দিয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা। কিন্তু সেই সমীক্ষায় ছিল একটি মজার অপশন, বর্তমানের নেতৃবৃন্দ নরেন্দ্র মোদী, রাহুল গান্ধি, মমতা ব্যানার্জি, অখিলেশ, মায়াবতী, কেজরিওয়াল, ইয়েচুরি, দেবগৌড়া, নীতিশ কুমার ও শারদ পাওয়ার ছাড়াও যদি জরিপে অংশগ্রহণকারীরা অন্য কাউকে নেতা হিসেবে দেখতে চান, তাহলে অ্যাড নিউ লিডার নামের অপশনে যোগ করতে পারেন নিজেদের পছন্দের কারো নাম।

এই অপশনেই ওঠে এসেছে একাধিক অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম। সেই তালিকার শুরুতেই আছেন আমির খান। দ্বিতীয়তে, অক্ষয় কুমার। রয়েছেন আন্না হাজারেও। রামদেবের সঙ্গে রাজনীতির হালকা যোগাযোগ থাকলেও, তিনিও স্থান নিয়েছেন এই তালিকায়। আছেন ধোনি-সৌরভের মতো ক্রিকেটারদের। আবার কেউ অর্থনীতির বিপ্লব দেখতেই তালিকায় নাম দিয়েছেন রঘুরাম রাজন কিংবা রতন টাটার মত ব্যক্তিত্বকে।

তবে একেবারে শুরুতে না থাকলেও তালিকায় উজ্জ্বল বাঙালির প্রিয় ‘দাদা’। ভারতের সাবেক অধিনায়ক হিসেবে সৌরভ গাঙ্গুলির নামটি এক্ষেত্রে একটু ভিন্ন পর্যায় যোগ করেছে। কারণ ক’দিন আগেই পাশের দেশ পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছেন ইমরান খান। তবে পার্থক্য রয়েছে যেটি সেটি হলো, ইমরান খান বহুদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তবে সৌরভের সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।

তবে কী হচ্ছে ভারতের রাজনীতিতে, তা জানতে আরো একমাস ধৈর্য ধরতেই হচ্ছে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top