একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের নির্বাচিত এমপি মো: জাহিদুর রহমানের মতো আরো দুই-একজন গেলেও বর্তমান সংসদের বৈধতা আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহিলা দল আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং সুচিকিৎসার দাবি’ উপলক্ষে এ মানববন্ধন হয়। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে মহিলা দলের নেত্রী জেবা খান, সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, হেলেন জেরিন খান প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের মন্ত্রীরা এই কয়েক দিন বলেছেন, বিএনপির যে ৬ জন নির্বাচিত হয়েছেন- তারা যেন সংসদে যান। সংসদে যাক আর না যাক, সংসদের বৈধতা অর্জন করা সম্ভব হবে না। একজন জাহিদুর রহমান গিয়েছেন। যদি আরো দুই-একজন যান তাতে সরকারের কি সুবিধা হবে, তা জানি না। তবে দেশের জনগণ জানবে, এর মাধ্যমে কখনো বর্তমান সংসদের বৈধতা আসবে না এবং আসতে পারে না। কারণ এই সংসদ জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়ে সংগঠিত হয় নাই। এই সংসদে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে নাই।
খালেদা জিয়ার কারারুদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, বেগম জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে রাখা হয়েছে। তবে তার মুক্তি আজকে না হোক কালকে হবেই এবং সম্মানের সঙ্গে তার মুক্তি হবে।
প্যারোলের আবেদন করলে বিবেচনা করার প্রশ্ন উঠে- প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে মওদুদ বলেন, প্যারোলের কথা যদি বলেন তাহলে আপনার আইনজীবীদেরকে দয়া করে একটু বলে দেন- বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের বিরোধীতা যাতে না করেন। তাহলে তো উনি জামিনে মুক্তি পেতে পারেন, প্যারোলের কোন প্রয়োজন হবে না। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে, সরকার বেগম জিয়ার মুক্তি চায় না।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, সরকারের একদলীয় শাসন ও ২৯ ডিসেম্বর সিভিলিয়ান ক্যু’র কারণে দেশে বিরাট একটি শুন্যতা বিরাজ করছে। এই শুন্যতা সরকার ও দেশের জন্য ভয়ঙ্কর। এথেকে উত্তোলনের জন্য অবিলম্বে বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। কারণ নির্বাচন দিলেই এই শুন্যতা আর থাকবে না। এই ভয়ঙ্কর অবস্থা থেকে আওয়ামী লীগ মুক্তি পাবে। আর এটা আওয়ামী লীগ, সরকার ও দেশের মানুষের জন্য ভালো হবে।
তিনি বলেন, সরকারের আচরণে- তারা জাতীয়তাবাদী দলকে ভাঙতে চায় না, নিঃশেষ করে দিতে চায়। কিন্তু নিঃশেষ করা সম্ভব হবে না। কারণ সরকারের অত্যাচার, নির্যাতন-নিপীড়ণের কারণে বিএনপি আরো শক্তিশালী হয়েছে। আর আগামী শত বছর জাতীয়তাবাদী দল বাংলাদেশে থাকবে।