শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে প্রকাশ্য দিবালোকে ইউপি চেয়ারম্যানের গুলিতে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। নিহত কৃষকের নাম ইদ্রিস আলী (২৫)। সদ্যসমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় নির্বাচনী দ্বন্দ্বের রেশ ও ধান কাটা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার যোগানিয়া কুত্তামারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের নাম হাবিবুর রহমান। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তিনি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি উপজেলার যোগানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে দশজন ধানকাটা শ্রমিকসহ অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের ভাতিজি জামাই মাজব আলীর বাড়ির নিকটে থাকা আড়াই একর জমির ধান কাটতে যায় কৃষক সোহরাব আলী। এসময় উপজেলা নির্বাচন সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে মাজব আলী তার লোকজনসহ সোহরাব আলীর ওপর হামলা করে ও ধান কাটতে বাঁধা দেয়।
বাঁধা পেয়ে সোহরাব আলী শ্রমিকদের নিয়ে বাড়ি চলে আসেন এবং আশপাশের স্বজনদের খবর দেয়। পরে সকলে মিলে পুনরায় ধান কাটতে গেলে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান দেশীয় অস্ত্র ও লোকজন সাথে নিয়ে সোহরাব আলীদের ধাওয়া করে।
একপর্যায়ে সোহরাব আলী ও তার ভাইদের বাড়ি গিয়ে অস্ত্রশস্ত্রসহ হুমকি দেয় চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান। এসময় উভয়পক্ষে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হলে চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান নিজের অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বের করে গুলিবর্ষণ করে। এতে সোহরাব আলীর চাচাতো ভাই ইদ্রিস আলী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
পরে স্বজনরা উদ্ধার করে ইদ্রিস আলীকে দ্রুত নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে এই ঘটনার পর পালিয়ে গেছে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ও তার লোকজন।