বৃহস্পতিবার হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হার) এর কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন। সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত নয়াপল্টনস্থ আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারে ভোটগ্রহন চলবে। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ৯৮২জন। নির্বাচন প্যানেল ভিত্তিক না হলেও প্রার্থীরা তিনটি প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। মূলত: হাবের বিদায়ী কমিটির প্যানেলটিই এবার বিভক্ত হয়ে নির্বাচন করছেন।
বর্তমান মহাসচিব এম. শাহাদাত হোসাইন তসলিমের নেতৃত্বাধীন হাব সম্মিলিত ফোরাম, আটাবের সহসভাপতি আসলাম খানের নেতৃত্বে হাব গণতান্ত্রিক ঐক্যফ্রন্ট ও হাবের ইসি সদস্য ড. আব্দুল্লাহ আল নাসেরের নেতৃত্বে সচেতন হাব গণতান্ত্রিক ফোরাম নির্বাচন করছে। এর মধ্যে প্রথম দুটি প্যানেলের মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে।
হাব সম্মিলিত ফোরামের প্যানেলে বিদায় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা ইয়াকুব শরাফতী, কোষাধ্যক্ষ মাওলানা ফজলুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন রয়েছে। এই প্যানেলের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন হাবের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি লক্ষীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক।
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ভূমিকা পালন করছেন যিনি বিগত নির্বাচনে বিজয়ী প্যানেলেরও প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন হাবের প্রতিষ্ঠাতা সহসভাপতি মো: আব্দুস শাকুর। এই প্যানেলে সমন্বযক ও উপদেষ্টাদের মধ্যে রয়েছেন, হাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সহসভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার, হাবের বর্তমান ইসি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাবেক সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সিলেট চেম্বারস অব কর্মার্সের চেয়ারম্যান খন্দকার শিপার আহমেদ, সাবেক সহসভাপতি ওয়াহিদুল আলম ও নুরুল ইসলাম, মেয়র হজ কাফেলার পরিচালক চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম, ফরহাদ হোসেন স্বপন প্রমুখ।
অন্যদিকে হাব গণতান্ত্রিক ঐক্যফ্রন্ট প্যানেলে রয়েছেন, বিদায়ী কমিটির যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন মিন্টু, জনংযোগ সচিব মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ইসি সদস্য গোলাম মোহাম্মদ, সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক কারী গোলাম মোস্তফা প্রমুখ। এই প্যানেলের প্রধান সমন্বয়কারির দায়িত্বে রয়েছেন হাবের বিদায়ী কমিটির সভাপাতি আব্দুস ছোবহান ভূঁইয়া (হাসান)। প্রধান উপদেষ্টা আটাবের সভাপতি এস.এন.মঞ্জুর মোরশেদ মাহবুব যিনি বিগত নির্বাচনে বিজয়ী প্যানেলের প্রাধান সমন্বয়কারি ছিলেন। এই প্যানেলের সাথে রয়েছেন এফবিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, টোয়াবের সভাপতি তৌফিক উদ্দিন, হাবের সাবেক মহাসচিব এম এ রশীদ শাহ স¤্রাট, হাবের এম এ করিম বেলাল, আটাব সিলেট জোনের সভাপতি আব্দুল জব্বার, আটাবের চট্ট্রগ্রামের সভাপতি আবু জাফর প্রমুখ।
এক প্যানেলের প্রধান সমন্বয়কারি বিদায়ী সভাপতি আব্দুস সোবহান ভূঁইযা ও অপর প্যানেলের প্রধান হিসেবে এম. শাহাদাাত হোসাইন তসলিম হাবের মহাসচিব থাকায় দুইপ্যানেলই গত দুই বছরে হাবের দায়িত্ব পালনে বিদায়ী কমিটি সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন বলে দাবি করছেন।
তবে বিদায়ী সভাপতি আব্দুস সোবহান ভূঁইয়া সড়ক দূর্ঘটনাজনিত অসুস্থ্যতার কারণে প্রায় দেড় বছর সক্রিয়ভাবে হাবের মূল দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। পুরো সময়ে তরুন মহাসচিব এম. শাহাদাত হোসেন তসলিম সততার সাথে হাবের দায়িত্ব পালনে ট্রলি ব্যাগ ও কোটা বানিজ্য বন্ধ, বিমানা ভাড়াা কমানো, প্রি-ডিপার্টচার ইমিগ্রেশন চালুসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বলে তার সমর্থকরা ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। এছাড়াও নির্বাচনে শাহাদাত হোসেন তসলিম সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে বিদায়ী সভাপতি আব্দুস ছোবহান ভূঁইয়া প্রথমে প্যানেল প্রধান হওয়ার কথা জানালেও পরে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে প্যানেলের প্রধান সমন্বয়ক হন। হাবের বিগত নির্বাচনে অপর একটি শক্তিশালী প্যানেলকে পরাজিত করার পেছনে বিদায়ী সভাপতি আব্দুস সোবহান হাসান ও আটাব সভাপতি মঞ্জুর মোরশেদ মাহবুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং হাবের দায়িত্ব পালনে মহাসচিবকে অসুস্থ্য সভাপতি সুযোগ করে দিয়েছিলেন-এমন প্রচারণা চালানো হচ্ছে সভাপতি সমর্থিত প্যানেলের পক্ষ থেকে।
এই প্যানেলের প্রধান আসলাম খান আটাবের মহাসচিব ও সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। হাবের কমিটিতে নবাগত হলেও সৎ ও কর্মঠ হিসেবে তারও ব্যাপক সুনাম রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা,চট্টগ্রাম ও সিলেট জোনের মোট ৫৪জন নির্বাচিত হবে। নির্বাচিতদের নিয়েই কমিটি গঠিত হবে।