শিক্ষা খাতে বাজেটে যে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয় তা টাকার পরিমাণে কম না হলেও জনসংখ্যার অনুপাতে সেটি খুব কম। শিক্ষাখাতে আরো বাজেট বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস এর উদ্যোগে ‘‘আগামী বাজেট ও শিক্ষাখাত : আমাদের প্রত্যাশা’’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সলর অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সেমিনারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির এনএইচএনের ডিরেক্টর অ্যান্ড কনসালটেন্ড ডা. সিএম দিলোয়ার রানা। আয়োজক সংগঠনের আহবায়ক ফারুক আহমাদ আরিফ ২০১৯-২০ অর্থবছরের শিক্ষা বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
নির্বাচনী ইশতেহারের শিক্ষার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখা হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে যে পরিমাণ আর্থিক বরাদ্দ, বিনিয়োগ প্রদান করা হবে শিক্ষাখাতে। ডা. দিপু মনি বলেন, সংখ্যাগত উন্নয়নের সাথে শিক্ষার মান বাড়ানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী।
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, নতুনরা শিক্ষা বাজেট নিয়ে ভাবছে এটিই বড় পাওয়া। তিনি স্কুলে মিড ডে মিলে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করতে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, পেটে ক্ষুধা রেখে বিদ্যা হয় না। তাই মিড ডে মিলে বিস্কুট দিলে চলবে না। তাদের পেট ভরে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, শিক্ষায় বাজেট বৃদ্ধি করবে এটা সরকারের অঙ্গীকার। তিনি বলেন, মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য মান সম্পন্ন শিক্ষকের প্রয়োজন উল্লেখ করে ঢাবি’র সাবেক ভিসি বলেন, যোগ্য, দক্ষ ও অভিজ্ঞ ভালো মানের শিক্ষক নিয়োগের সাথে সাথে তাদের মধ্যে ন্যূনতম মানবিক মূল্যবোধ রয়েছে কি না , তা বিবেচনা করতে হবে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারি, বেসরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাজেটের আওতায় আনতে ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করে মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস বলেছে, জাতীয় বাজেটের ২৫ শতাংশ এবং জাতীয় আয়ের ৭ শতাংশ শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ করতে হবে, বরাদ্দ নয়।