বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে পর্যটন বিষয়ক একটি সাইট উদ্বোধনকালে নিজের দু’টি স্মার্টফোন চুরি হওয়ায় সাংবাদিকদেরকে আধাঘন্টারও বেশি সময় আটকে রাখলেন অভিনেত্রী শমী কায়সার। এসময় সংবাদকর্মীদের দেহ তল্লাশি করা হয়। তল্লাশির পর কেউ কেউ বের হতে চাইলে ‘চোর’ও বলা হয় তাদেরকে। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপস্থিত অর্ধশতাধিক সংবাদকর্মী। পরে দেখা গেলো অনুষ্ঠানে কেক নিয়ে আসা লাইটিংয়ের এক কর্মী স্মার্টফোন দু’টি চুরি করেছে। এরপর সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন শমী কায়সার। ঘটনাটি মিডিয়া প্রকাশিত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা এবং নিন্দার ঝড়।
লেখক ও সাংবাদিক আতিক হেলাল তার ফেইসবুকে লিখেন, অর্ধশত সাংবাদিককে আটকে রেখে ‘চোর’ বলে দেহ তল্লাশি করলেন ‘সুশীল’ শমী! এমন কাজ যদি অন্য ‘ঘরানা’র কেউ করতো, তাহলে কী অবস্থা হতো?
‘জাতীয় প্রেসক্লাবের মতো জায়গায় সাংবাদিকদেরকই চোর বলা হয়, আটকে রাখা হয়। এটা কার অধঃপতন!!’- লিখেন সাংবাদিক কামরুল হাসান।
এই সংক্রান্ত নিউজটি শেয়ার করে সাংবাদিক ও কলামিস্ট মেহেদী হাসান পলাশ লিখেন, ‘এই কাজটা যদি শামা ওবায়েদ বা রুমীন ফারহানা করতেন এতক্ষণ ভাট্টির সমব্যাথিরা প্রেসক্লাবের সামনে বসে পড়তেন। তারা প্রেসক্লাব থেকে বের হতে পারতেন না।’
‘সাংবাদিকদের আটকে রাখা এবং চোর বলায় শমী কায়সার ও তার নিরাপত্তারক্ষীর কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত’ বলে মন্তব্য করে শাহাদাৎ হোসাইন।
‘এটাই দেখার বাকী ছিলো!’ এভাবে বিস্ময় প্রকাশ করেন রেজাউল করিম।
ব্যাংকার নাজমা হোসাইন লিখেন, ‘আজ ক্ষমতাসীন দলের লোক বলে …..’
‘এই ঘটনায় চুপ করে থাকলে সাংবাদিকদের আরও অনেক কিছু দেখতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন শিক্ষক কাওসার আহমেদ।