বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জনগণের কাছে আপসহীন নেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সুতরাং তিনি কখনোই কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি, কোনো স্বৈরশাসকের কাছেই আত্মসমর্পণ করেননি।’
খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগের ব্যাপারে রিজভী বলেন, ‘দর কষাকষির দৃষ্টান্ত কার আছে সেটি আপনারা নিজেরাই জানেন, আর না জানলে আপনাদের নেত্রীর কাছে জিজ্ঞেস করেন।’
আজ নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গণতন্ত্রে প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ শেখ হাসিনার কারাগারে বন্দী। দেশের প্রতিটা মানুষ জানে এবং বিশ্বাস করে খালেদা জিয়া নির্দোষ।’
রিজভী বলেন, ‘ম্যান্ডেটবিহীন সরকারের কারণে বর্তমান সামাজিক ভায়োলেন্স এতো বৃদ্ধি পেয়েছে যে, বাংলাদেশ থেকে ‘সোশ্যাল ফেব্রিক’ ভেঙে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘সমাজবিরোধী সরকারি দলের আনুকূল্যে মানুষের সহায়-সম্পত্তি দখলের ধারাবাহিকতায় নারীদেরও দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নীরব রয়েছে। বাহিনীর কেউ কেউ এদের মদদদাতা হিসেবে কাজ করছে, অথবা নিজেরাই অপকর্মে মেতে উঠেছে।’ গোটা রাষ্ট্রব্যবস্থা এখন ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এ নেতা।
রিজভী বলেন, ‘অবৈধ মিডনাইট সরকার আইয়ামে জাহেলিয়াতের মতো পরিস্থিতির দিকে দেশকে ঠেলে দিয়েছে। বর্তমানে সারাদেশে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা ধর্ষণ-নারী নির্যাতন-খুন-দখল ও গুমের উৎসবে মেতে উঠেছে। দেশে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিনা ভোটের সরকার কোনোকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। নারী নিপীড়ন ও খুন তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ’৭২-৭৫ এর চেয়েও এখন দেশের অবস্থা ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেন তিনি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে বর্তমানে ভীষণ অসুস্থ। আমরা তার সুচিকিৎসার জোর দাবি জানাচ্ছি এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।’