দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী বিএনপি মনোনীত ৬ এমপি শপথ নেবেন না। দলের কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্যারোলে আবেদন করে মুক্তিও চাইবে না। সোমবার রাতে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারনী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নেতারা সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, জাতীয় সংসদে না যাওয়ার বিষয়ে সবাই একমত পোষণ করেছেন। এছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য প্যারোলে আবেদন না করে আইনি লড়াইকে আরও গুরুত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। একপর্যায়ে স্কাইপের মাধ্যমে লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও যোগ দেন।
বৈঠকের বিষয়ে স্থায়ী কমিটির একজন নেতা জানান, সম্প্রতি বিএনপির নির্বাচিত এমপিরা শপথ নিচ্ছেন এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্কাইপিতে সিনিয়র নেতাদের মতামত জানতে চান।
এ সময়ে স্থায়ী কমিটির প্রত্যেক নেতা শপথ না নেয়ার পক্ষে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। তাদের সবার মতামতের ওপর ভিত্তি করে এমপিদের শপথ না নেয়ার জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়।
এ বিষয়ে স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলকেই তারা প্রত্যাখান করেছেন। পুননির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতে শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত অবান্তর। ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচনের পর জোট ও দলের পক্ষ থেকে সংসদে না যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো। বৈঠকে সেই সিদ্ধান্তটি আরও জোরদার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আর কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।
এছাড়া বৈঠকে খালেদা জিয়ার অসুস্থতা, তার চিকিৎসা এবং তার মামলা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তার চিকিৎসায় কোন সমস্যা আছে কিনা তার দিকে খেয়াল রাখার কথা হয়েছে। এছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আইনি লড়াইকে আরও জোরদার ও সমন্বিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মামলা পরিচালনার জন্য সিনিয়র আইনজীবীদেরকে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব বন্টন করে দেয়া হয়েছে। তবে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেতারা গণমাধ্যমের সঙ্গে কিছু বলতে চাননি।