একাদশ শ্রেণীতে এবারও ভর্তি হতে হবে মেধা তালিকা অনুসারে। আর কোটার প্রার্থীদের অতিরিক্ত হিসেবে ভর্তি করা যাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে ১১ শতাংশ কোটা রয়েছে। এরা মোট আসনের অতিরিক্ত হিসেবে ভর্তির সুযোগ পাবে। তবে এসব কোটায় উপযুক্ত শিক্ষার্থী না পাওয়া গেলে অন্য কাউকে ভর্তি করা যাবে না।
একাদশে ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের পরীক্ষা বা বাছাই করা যাবে না। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তি করতে হবে মেধার ভিত্তিতে। সমান জিপিএ প্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণে বিজ্ঞান গ্রুপে গণিত, উচ্চতর গণিত/ জীব বিজ্ঞানে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় নেয়া হবে। মানবিক ও বানিজ্য শিক্ষা শাখায় ইংরেজি গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনা করা হবে।
এরূপ বিধানকে যুক্ত করে ২০১৯ সালের একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির নীতিমালা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নীতিমালা অনুসরণ করেই আগামী ৬ মে থেকে ৯ মে’র মধ্যে যেকোনও দিন প্রকাশিতব্য এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। ভর্তির আবেদন করতে হবে অনলাইনে আগামী ১২ মে থেকে।
মেধায় শতভাগ ভর্তির পরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির কোটা হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা ৫ শতাংশ, বিভাগীয় ও জেলা সদর ৩ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধঃস্তন দফতরসমূহ ২ শতাংশ, বিকেএসপি ০.৫ এবং প্রবাসী ০.৫ শতাংশ; মোট ১১ শতাংশ।
একাদশ শ্রেণীতে ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদন করতে হবে বিগত বছরগুলোর মত অনলাইনেই। সে ক্ষেত্রে একজন ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থী অনলাইনে সর্বনিম্ন ৫টি কলেজে এবং মোবাইলের এসএমএস’র মাধ্যমে আরো ৫টি মোট ১০ কলেজে ভর্তির জন্য পছন্দ নির্ধারণ করে আবেদন করা যাবে। এর জন্য নেয়া হবে ১৫০ টাকা। মোবাইল ফোনে প্রতি এসএমএস-এ একটি করে কলেজে আবেদন করা যাবে। এর জন্য ১২০ টাকা দিতে হবে। তবে এসএমএস এবং অনলাইন মিলিয়ে কোনো শিক্ষার্থী ১০টির বেশি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন না এবং পছন্দক্রম অনুযায়ী একটি কলেজে ভর্তির অনুমোদন দেয়া হবে।
একাদশ শ্রেণীতে অনলাইন এবং এসএমএস’র মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ১২ মে এবং চলবে ২৩ মে পর্যন্ত। ভর্তি কার্যক্রম ২৭ জুন থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ৩০ জুনের মধ্যে। এছাড়া ২০১৯-২০ শিক্ষবর্ষে একাদশ শ্রেণীর ক্লাস শুরু হবে ১ জুলাই’১৯ থেকে।
অনলাইনে এবং এসএমএস’র মাধ্যমে আবেদনের পর শিক্ষা বোর্ড থেকে যে ভর্তির তালিকা প্রকাশ করা হবে, সে অনুসারে ভর্তির পর নিশ্চায়ন করতে হবে, ভর্তি নিশ্চায়ন না করা হলে অর্থাৎ কেউ ভর্তি না হলে, তাকে পুনরায় নতুন করে আবেদন করতে হবে। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়গুলো বিগত বছরগুলোর মতই অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
সেগুলো হচ্ছে, স্কুল সংযুক্ত কলেজগুলো তাদের শিক্ষার্থীদেরই আগে ভর্তির পর খালি আসনের আবেদন বিবেচনা করবে, ভর্তি ফি, সেশন চার্জ অপরির্তিত রাখা হয়েছে। প্রতিটি খাতে অর্থ আদায়ের রশিদ দিতে হবে।