ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সেজিয়া বাজারে ঘুমের ইনজেকশন পুশ করে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে এক পল্লী চিকিৎসক। পুলিশ ধর্ষক সাইফুল ইসলামকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে। রোববার সকালে সেজিয়া বাজারের নাজ ফার্মেসিতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বিকালে খবর পেয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পল্লী চিকিৎসক সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। সেজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ালেখা করছে ওই ছাত্রী। গ্রেপ্তার পল্লী চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম মহেশপুর উপজেলার নেপা ইউনিয়নের সেজিয়া গ্রামের নুর মোহাম্মাদের ছেলে। সেজিয়া বাজারের নাজ ফার্মেসিতে ওষুধ বিক্রির পাশাপাশি পল্লী চিকিৎসকের কাজ করে সাইফুল।
ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর মা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই তার মেয়ের জ্বর। শরীর ভালো না হওয়ায় শনিবার রাতে সাইফুল ইসলামের নাজ ফার্মেসিতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান মেয়ের বাবা। সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়। ওই সময় পল্লী চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম মেয়ের বাবাকে বলে সকালে পাঠিয়ে দেবেন আরও চিকিৎসা দিতে হবে। রোববার সকালে পল্লী চিকিৎসক সাইফুল ইসলামের কথা মতো চিকিৎসার জন্য মেয়েকে নাজ ফার্মেসিতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানে গেলে সাইফুল ইসলাম ওই ছাত্রীর শরীরে একটি ইনজেকশন পুশ করে। সেই সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে দেয়। এরপর মেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে লম্পট সাইফুল তাকে ধর্ষণ করে।
স্কুলছাত্রীর মা আরও বলেন, মেয়ের আসতে দেরি দেখে তারা নাজ ফার্মেসিতে গিয়ে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের মেয়ে পড়ে আছে। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে অবস্থান অবনতি ঘটলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা গুরুতর।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস বলেন, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পল্লী চিকিৎসক সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মহেশপুর থানায় সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।