গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আগেই খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন শুরু করতে হবে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হলে গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে গণতন্ত্রকে মুক্ত করা যাবে না। আগে দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। তাই আমাদের প্রধান দায়িত্ব দেশনেত্রীকে মুক্তি করা এবং তার নেতৃত্বে এই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। আসুন দেশনেত্রীকে মুক্তি করে তার নেতৃত্বে আন্দোলন গড়ে তুলি। আপনারা যে যেখানে আছেন ঐক্যবদ্ধভাবে সেই আন্দোলনে শরিক হওয়ার জন্য এবং সেই আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য আমি আহবান রাখছি।’
আজ সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার প্রসঙ্গ টেনে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দেশে এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশের গণতন্ত্র আওয়ামী লীগের বাক্সে বন্দি, লুটেরাদের হাতে দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য। আজকে ব্যাংকে যারা বিভিন্নভাবে টাকা-পয়সা নিয়ে খেলাপী হয়ে আছে সেই খেলাপীদের হাতে দেশের অর্থনীতি। শেয়ার বাজারের আজকে করুণ অবস্থা। শুধু তাই নয়, কোনোক্রমেই এদেশের জনগণ নিরাপদ বোধ করে না। আপনারা দেখেছেন কিছুদিন আগে সোনাগাজীতে নৃশংস ভাবে আমাদের একজন ছোট বোন মারা গিয়েছেন। কোনো মানুষ আজকে নিরাপদ নয়।’
এ অবস্থা থেকে উত্তরণে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে গায়ের জোরের সরকার ভয় পায়। তার দলকে ভয় পায় বলে তাকে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তার কোনো দোষ ছিলো না। একটিই দোষ তিনি একজন পরীক্ষিত জনপ্রিয় নেত্রী, তিনি যতবার জাতীয় সংসদে নির্বাচন করেছেন ততবার জনগণ তাকে নির্বাচিত করেছে।’
‘বেগম খালেদা জিয়া এদেশের গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন-এটাই হচ্ছে তার দোষ, বেগম খালেদা জিয়া জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য লড়াই করছেন। সেজন্য তিনি আজকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে কারাগারে।’
স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমান বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এই প্রতিকী অবস্থান কর্মসূচি হয়। সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে এই অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, জাতীয় দলের সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হুদাসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।