পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা মা-মেয়ে আটক

চট্রগ্রাম থেকে শরীয়তপুরে পাসপোর্ট করতে এসে পুলিশের কাছে ধরা পড়েছে রোহিঙ্গা মা ও মেয়ে। এরা হলেন- মিয়ানমারের মৃত সাব্বিরি আহম্মেদের স্ত্রী নুরহাবা (৫৫) ও তার মেয়ে খালেদা আক্তার (১৯)। আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে চট্রগ্রামের হাটহাজারি এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছে বলে জানা যায়।

শরীয়তপুর পাসপোর্ট অফিস ও পালং মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে রোহিঙ্গা খালেদা আকতার শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের কীর্তিনগর এলাকার ভূয়া ঠিকানা ব্যবহার করে শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যান। পাসপোর্টে তিনি শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের কীর্তিনগর বাসিন্দা নুরে আলমের স্ত্রী বলে পরিচয় দেন খালেদা আক্তার। পাসপোর্ট জমা দেয়ার সময় শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসার আবেদনকারীকে ডেকে কথা বলতে গিয়ে কথাবার্তায় রোহিঙ্গা বলে সন্দেহ হয়।

এরপর তাকে বসিয়ে রেখে পালং থানার পুলিশকে খবর দেন তিনি। পুলিশ ঘটনাস্থাল গিয়ে তাকে আটক করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে খালেদা নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করে নেয়। এবং তার বাড়ি মিয়ানমারে বলে জানায়। চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে প্রায় ২০ বছর যাবৎ ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি।

খালেদা পুলিশের কাছে আরো জানায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের কীর্তনগর এলাকার সানোয়ারুল ইসলাম ও নুরে আলম নামে দুই দালাল মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে চট্রগ্রাম থেকে তাদেরক শরীয়তপুরে নিয়ে আসে। এ ঘটনার পরে অভিযুক্ত দুই দালাল সটকে পড়ে।

এরপর তার সাথে আসা খালেদার মা নুরহাবাকে সোমবার রাতে আটক করে পালং মডেল থানা পুলিশ। বর্তমানে এই রোহিঙ্গা মা-মেয়ে পালং থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

রোহিঙ্গা খালেদা আক্তার বলেন, আমাদেরকে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে দালাল সানোয়ারুল ইসলাম ও নুরে আলম হাটহাজারি ভাড়া বাসা থেকে শরীয়তপুরে পাসপোর্ট করতে নিয়ে আসে। আমাদের বাড়ি মিয়ানমার।

এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবীর বলেন, শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের কীর্তনগর এলাকার সানোয়ারুল ইসলাম ও নুরে আলম নামে দুই দালাল মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে খালেদাকে পাসপোর্ট করার উদ্দেশ্যে শরীয়তপুরে নিয়ে আসে। তাদেরকে আটক করার পর তারা মিয়ানমারের বাসিন্দা বলে স্বীকার করেছে। বর্তমানে তারা দু’জনই পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top