বাংলাদেশে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকায় তিনি বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছেন বলে তার একজন ব্যক্তিগত চিকিৎসক জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই চিকিৎসক আরো বলেছেন, আর্থ্রাইটিস রোগের কারণে খালেদা জিয়া তার বাম হাত ও পায়ের জয়েন্ট বা জোড়াগুলোতে ব্যথায় হাঁটাচলা করতে পারছিলেন না। সেই অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।
গত শনিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির কয়েকজন নেতা হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করেছিলেন।
এরপর মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, তাদের নেত্রী অত্যন্ত অসুস্থ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের যে চিকিৎসক দল বিএনপি নেত্রীর চিকিৎসা দিচ্ছেন, সেই দলের প্রধান অধ্যাপক জিলান মিয়া সরকার বলছেন, খালেদা জিয়া ভালো আছেন।
তিনি আরো বলেছেন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসছে না, সেটাই এখন মূল সমস্যা।
তিনি জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার শরীরে এখন ডায়াবেটিস বা রক্তের শর্করার পরিমাণ ১৬ এর বেশি রয়েছে। গত কয়েকদিনে এই মাত্রা ১৪ এর উপরেই ছিল।
তারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, তার যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না।
তবে অধ্যাপক জিলান মিয়া সরকার বলেছেন, প্রতিদিন দুপুরে তারা চিকিৎসক দল খালেদা জিয়াকে দেখে নিয়মিত চিকিৎসা দিচ্ছেন।
তিনি জানিয়েছেন, খালেদা জিয়াকে অতিমাত্রায় ডায়াবেটিস এবং খাবারের অরুচির কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখন তার খাবারের রুচি বেড়েছে।
তিনি উল্লেখ করেছেন, আর্থ্রাইটিস সমস্যা দীর্ঘদিনের হওয়ায় খালেদা জিয়ার হাত এবং পায়ের জোড়াগুলোতে ব্যথা রয়েছে। সেজন্য তাকে নিয়মিত থেরাপি দেয়া হচ্ছে।
তার বয়সের কারণেও সমস্যাগুলোর দ্রুত উন্নতি হচ্ছে না বলেও চিকিৎসকরা বলছেন।
দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেত্রীকে গত পহেলা এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সূত্র : বিবিসি বাংলা